লোকসভা ভোটের পরে কিছু দিন বিরতি ছিল। মুর্শিদাবাদ জেলায় ফের দলীয় কর্মীদের ‘মিথ্যা মামলা’য় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ নিয়ে এ বার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। একই সঙ্গে বহরমপুর পুরসভায় সাফাই কর্মীদের বেতন বন্ধ ও ধর্মঘটের জেরে অচলাবস্থা কাটাতেও রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে তারা।
বিধানসভায় শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বিরোধী দলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তী এবং কংগ্রেস পরিষদীয় দলের উপ-নেতা নেপাল মাহাতো। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মীদের নানা অছিলায় গ্রেফতার করে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দিচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মাদক চালানের ধারা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ওই জেলায় দখল হওয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং একাধিক কাউন্সিলরকেও এমন ধারায় ‘ফাঁসিয়ে’ জেলে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশের এই আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন মান্নানেরা। লোকসভার বিরোধী দলের নেতা এবং বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বৃহস্পতিবার মান্নানকে পুলিশের ধর-পাকড়ের কথা জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানান। তার পরেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন মান্নান।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, মাদক চালানের মামলা দেওয়া হচ্ছে। শাসক দলের কাছে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেননি, এটাই তাঁদের অপরাধ! মুখ্যমন্ত্রী শুনে বলেছেন, এমন হওয়ার কথা নয়। আমরা মৌখিক ভাবে কিছু ঘটনা জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী নির্দিষ্ট উদাহরণ চেয়েছেন। লিখিত ভাবেই তাঁর কাছে বিশদ ঘটনা পাঠিয়ে দেব।’’
বহরমপুর পুরসভায় সাফাই কর্মীরা বেতন না পেয়ে ধর্মঘটে যাওয়ায় পরিষেবা ক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে এ দিনই বিধানসভায় ‘পয়েন্ট অফ ইনফর্মেশন’ এনে সরব হন মনোজবাবু। পরে আরও এক বার বিষয়টি বিধানসভায় তোলেন বহরমপুরের বিধায়ক। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দ্রুত হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন মনোজবাবু।