রাজ্যে কর্মসংস্থানের দাবি এবং নিয়োগের নানা পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে রেখে সিঙ্গুর থেকে কলকাতা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই সব দাবি নিয়ে বিধানসভায় যাতে তাঁরা সরব হন, সেই আর্জি জানিয়ে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট বিধায়কদের দ্বারস্থ হল ১২টি বামপন্থী যুব ও ছাত্র সংগঠন। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী আশ্বাস দিয়েছেন, এই বিষয়ে বিধানসভার অধিবেশনে তাঁদের যা করণীয়, তা করা হবে। দু’পক্ষ যৌথ ভাবেই সিঙ্গুরে শিল্পের নতুন উদ্যোগের দাবিতে বেসরকারি প্রস্তাব এনে আলোচনাও চায়। এমনকি, বিরোধী দলনেতা প্রস্তাব দিয়েছেন, বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনগুলি চাইলে প্রদেশ যুব কংগ্রেসও তাদের সঙ্গে অভিযানে সামিল হতে পারে।
সিঙ্গুর থেকে কলকাতা অভিযান হবে আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর। তার আগে গত সপ্তাহেই সিঙ্গুরে তিন দিন কাটিয়ে সেখানকার মানুষের মন বোঝা এবং নিজেদের দাবির কথা বোঝানোর চেষ্টা করে এসেছেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের নেতা-কর্মীরা। বিধানসভায় এসে বৃহস্পতিবার সিঙ্গুর থেকে কলকাতা অভিযানের উদ্যোক্তা ১২টি বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনের নেতা-নেত্রীরা কংগ্রেস ও বাম বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের বক্তব্য, শিল্পের হাল বেহাল এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। শিক্ষক নিয়োগে অচলাবস্থা অব্যাহত। এসএসসি, পিএসসি, মাদ্রাসা শিক্ষক, পার্শ্ব-শিক্ষক এবং আরও নানা ক্ষেত্রে বহু দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। আবার স্কুল-কলেজে পড়াশোনা এবং পরীক্ষার খরচ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। এই বিযয়গুলি নিয়েই বিরোধী দুই দলের বিধায়কদের বিধানসভায় সরব হওয়ার আবেদন জানান যুব ও ছাত্র নেতারা।
পরে মান্নান বলেন, ‘‘দাবিগুলির সঙ্গে আমরা সহমত। যুব ও ছাত্র সংগঠনগুলি এই নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করুক। আমরা বিধানসভার ভিতরে বিষয়গুলি তুলব।’’ সুজনবাবুর বক্তব্য, ‘‘সিঙ্গুরে শিল্প-প্রচেষ্টার দাবি জানিয়ে ১৮৫ ধারায় বেসরকারি প্রস্তাব এনে বিধানসভায় আলোচনা চেয়েছি। দেখা যাক, সরকারের মনোভাব কী হয়।’’ ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র ও রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘দু’পক্ষের বিধায়কেরাই আমাদের দাবির সমর্থনে সব রকম চেষ্টার আশ্বাস দিয়েছেন।’’