পায়ে পা লাগিয়ে বাধানো হল ঝগড়া, আর তাতেই হাতছাড়া হল মুঠোর মধ্যে থাকা পঞ্চায়েত—মালদহের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে এমনই অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
এই পঞ্চায়েতের ১৮টি আসনের মধ্যে ১১টিই কংগ্রেসের। ১১ জনকেই শিলিগুড়িতে এক সঙ্গে রাখা হয়েছিল। বুধবার সকালে দু’টি গাড়িতে করে সবাই মিলে বোর্ড গঠনের সভায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু ডালখোলার কাছে আচমকাই তাঁদের একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয় আর একটি গাড়ি। তাতে কারও আঘাত লাগেনি। গাড়িরও খুব কিছু ক্ষতি হয়নি। কিন্তু ঝগড়া লেগে গেল সঙ্গে সঙ্গে। কংগ্রেসের তাড়া ছিল। বোর্ড গঠনের সভা ১১টায়। তাই যে গাড়িটি ধাক্কা দিয়েছে, তার চালককেই ‘ক্ষতিপূরণ’ দিতেও রাজি হয়ে যায় তারা। কিন্তু চালক কিছুতেই সে টাকা নেবেন না। তত ক্ষণে গ্রামের বহু মানুষও গাড়িগুলোকে ঘিরে ফেলেছেন। গ্রামবাসীদের দাবি, আলোচনা করে বিবাদ মেটানো হোক।
তখন কংগ্রেস সদস্যদের কাছে বারবার ফোন আসছে, দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই নিজেদের গাড়ি দু’টো সেখানেই রেখে অন্য গাড়িতে মালদহ যাওয়ার চেষ্টা করলেন তাঁরা। কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি, আলোচনা না সেরে যেতে দেবেন না কাউকে। মরিয়া কংগ্রেস সদস্যরা বাসে উঠতে গেলেও বাধা পান বলে দাবি।
শেষ পর্যন্ত যখন তাঁরা পৌঁছলেন, তখন উপস্থিত সদস্যদের নিয়েই বোর্ড গঠন করা হয়ে গিয়েছে। বোর্ড দখল করে নিয়েছে তৃণমূল।
কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, ‘‘ষড়যন্ত্র করেই আমাদের গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে ঝগড়া বাধানো হয়েছে। তৃণমূলের কথাতেই আলোচনার নামে আমাদের আটকে রাখা হয়।’’ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তজমুল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওই গ্রামের মানুষও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ অস্বীকার করেছেন।
তবে কংগ্রেসের দাবি, প্রশাসন এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে পারত। চাঁচলের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক ইশে তামাং যদিও বলেছেন, ‘‘বিধি মেনেই সভা করে বোর্ড গঠিত হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy