Advertisement
E-Paper

জোট রেখেই একা লড়াই কংগ্রেসের

দলের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে সন্ত্রাস এবং মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে পৃথক আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। ২৫ জুন, শনিবার মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে গাঁধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করবে কংগ্রেস।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৬ ০৮:৩৮

দলের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে সন্ত্রাস এবং মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে পৃথক আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। ২৫ জুন, শনিবার মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে গাঁধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করবে কংগ্রেস। তার নেতৃত্ব দেবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিধানসভায় যখন রাজ্য বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে, তখনই পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে অধীরবাবু বোঝালেন কলকাতাতেও তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানানোই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।

২২ জুন মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মিছিল করবে কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট। বামেদের মিছিলে কংগ্রেসকে না ডাকা হলেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সূর্যবাবু জানিয়েছেন, তিনি কলকাতায় থাকলে কংগ্রেসের মিছিলে যাবেন।

বামফ্রন্ট না কংগ্রেসের সঙ্গে জোট? শরিকদের এই প্রশ্নে জেরবার সিপিএম। তাই আগে ফ্রন্ট রক্ষা করে তার পরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট রক্ষা করতে চায় তারা। কংগ্রেস সূর্যবাবুকে চিঠি দিলেও কেন কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে না? কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের নেতা সিপিএমের মানব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা বামফ্রন্টের নিজস্ব কর্মসূচি। তাই কংগ্রেসকে ডাকা হয়নি।’’

সিপিএমের সঙ্গে জোট বজায় রেখেও দলের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করতে শুক্রবারই কংগ্রেস বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অধীরবাবু। শনিবার পৃথক ভাবে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস নিজের পরিসর আরও বাড়াতে চায়। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে। অধীরবাবুর লক্ষ্য সিপিএমের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেও পায়ের তলায় মাটি শক্ত করা। তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে কংগ্রেসকেই তুলে ধরা। শনিবারের মিছিল সফল করার জন্য কংগ্রেসের সব শাখা সংগঠনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জোটে থাকলেও কংগ্রেস যে তাদের পৃথক কর্মসূচিও চালিয়ে যাবে তা স্পষ্ট করে অধীরবাবু বলেন, ‘‘দু’টি দলের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। আমরা তো বলতে পারব না, গাঁধী চলে যাক। মার্ক্স আসুক। তৃণমূল ও বিজেপির বিরোধিতায় আমরা দু’দল জোট করেছি। তা থাকবে।’’

অধীরবাবু এ দিন বোঝাতে চান, বিজেপির আগ্রাসন রুখতেও কংগ্রেসই মুখ্য ভূমিকা নেবে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণ নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি। অধীরবাবু জানান, তিনিও বিদেশমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা।’’

Congres
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy