E-Paper

নম্বরে গরমিল, অনিশ্চিত কারিগরি পড়ুয়াদের ভর্তি

ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, অনলাইন-এ ফল প্রকাশের পর ই-মার্কশিট ডাউনলোড করে তার ভিত্তিতে অনেকেই ভিন রাজ্যের বিভিন্ন কারিগরি কলেজে ভর্তির জন্য হয় আবেদন করেছেন না হয় ভর্তির পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু মার্কশিটের হার্ড কপি ও সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পরে মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৫ ০৭:২৯

—প্রতীকী চিত্র।

নম্বরের গরমিল নিয়ে এ বার বিতর্কে জড়াল রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা সংসদের উচ্চমাধ্যমিক বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ফলাফল। রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে দুর্নীতির অভিযোগ বিরোধীদের দীর্ঘ দিনের। সেই তালিকায় নব্য সংযোজন উচ্চ মাধ্যমিক বৃত্তিমূলক পরীক্ষার এ বছরের ফলাফল। গত মঙ্গলবার ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশের ই-মার্কশিট (অনলাইনে প্রকাশিত নম্বর) এবং মার্কশিটের হার্ড কপিতে প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে বিস্তর ফারাক। পড়ুয়াদের পাশাপাশি যা নিয়ে আতান্তরে পড়েছেন কারিগরি সংসদের আওতাধীন বিভিন্ন বিদ্যালয় এবং প্রশিক্ষকেরাও।

ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, অনলাইন-এ ফল প্রকাশের পর ই-মার্কশিট ডাউনলোড করে তার ভিত্তিতে অনেকেই ভিন রাজ্যের বিভিন্ন কারিগরি কলেজে ভর্তির জন্য হয় আবেদন করেছেন না হয় ভর্তির পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু মার্কশিটের হার্ড কপি ও সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পরে মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। তাঁদের অভিযোগ, বেশিরভাগ পড়ুয়ারই নম্বর, হয় বেড়েগিয়েছে না হয় গিয়েছে কমে। ফলে তাঁদের কলেজে ভর্তি হওয়া এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে।

বৃত্তিমূলক শিক্ষক-প্রশিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় সমিতির মুখ্য উপদেষ্টা মনোজ চক্রবর্তী স্পষ্টই অভিযোগ করছেন, “উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গেই বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়াই রীতি। এ বার কারিগরি সংসদের গড়িমসি দেখে আমরা চাপ দিই। দীর্ঘ টালবাহানার পরে গত ১৬ মে সংসদের পক্ষ থেকে শুধু ই-মার্কশিট প্রকাশ করা হয়। তারও প্রায় এক মাস পরে মার্কশিটের আসল কপি হাতে পেয়ে পড়ুয়াদের মাথায় প্রায় বজ্রাঘাত হল!”

প্রশিক্ষক সমিতির সভাপতি অতীশ সেনের দাবি, “এমনিতেই ফল প্রকাশে দেরি করেছে সংসদ। ই-মার্কশিট ডাউনলোড করে বিদ্যালয়গুলিকে তা ছাত্রছাত্রীদের দেওয়ার নির্দেশ ছিল। তা নিয়েই ছাত্রছাত্রীরা ভর্তির জন্য মূলত হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন কলেজে গিয়েছিল। প্রায় মাস ঘুরে যাওয়ার পরে গত মঙ্গলবার মার্কশিটের হার্ড কপি হাতে পাওয়ার পর দেখা গিয়েছে ই-মার্কশিটের নম্বরের সঙ্গে বিস্তর বৈষম্য।”

কেন এমন হল? কারিগরি শিক্ষা সংসদের অতিরিক্ত অধিকর্তা বিপ্লব রায়ের নির্বিকার জবাব, “তার জবাব সংবাদমাধ্যমকে দেব না।” তবে সংসদের চেয়ারম্যান, রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য পূর্ণেন্দু বসু বলেন, “যাঁরা পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখেছেন, তড়িঘড়ি করতে গিয়ে সম্ভবত ভুলটা করেছেন তাঁরাই। তবে এ সমস্যা অচিরেই মিটিয়ে ফেলা হবে।”

কিন্তু নম্বরের বৈষম্য দূর হবে কী করে? তার সদুত্তর অবশ্য কারিগরি শিক্ষা সংসদের কাছে মেলেনি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Higher Secondary Exam Vocational education marksheet

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy