রাজ্য সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে তারা থাকবে না। কিন্তু রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরেরই কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের আওতায় থাকা বেশ কিছু পরিষেবা এ রাজ্যেও মিলবে, তবে অন্য নামে। আর এ নিয়েই সম্প্রতি ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ রাজ্যেও জেলাস্তরে ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর অধীনে থাকা স্বাস্থ্য ও নিরাময় কেন্দ্র (হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার) থাকবে। যার নাম ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, গত জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতার বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন স্বাস্থ্য কর্তারা। সেখানে প্রত্যেক জেলায় প্রায় আড়াই’শো উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। যার অধিকাংশ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। সেখানে কুষ্ঠ, যক্ষ্মা, অপুষ্টি, ডায়াবিটিস এমনকি ক্যানসারের মতো রোগের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও রোগ সম্পর্কে সতর্কতা প্রচার করা হবে। ঘটনাচক্রে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে এই পরিষেবাগুলিও রয়েছে। স্বাস্থ্য ও নিরাময় কেন্দ্রের মতোই ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’-এ এই সব পরিষেবা পাওয়া যাবে। সেই পরিষেবা দিতে জেলাভিত্তিক প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়ে পরিকল্পনা করার জন্যই জানুয়ারিতে স্বাস্থ্যকর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী অবশ্য ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর নাম পরিবর্তনের বিষয়টি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘বহুদিন ধরেই এ রাজ্যে ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ চলছে। জেলাস্তর থেকেই ডায়াবিটিস, যক্ষ্মার মতো একাধিক রোগের পরিষেবা চালু হয়েছে। ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের দ্বন্দ্বের জেরে রাজ্যের একাধিক স্বাস্থ্য প্রকল্পের ভবিষ্যৎ প্রশ্নচিহ্নের মুখে। রাজ্যের এক স্বাস্থ্যকর্তার দাবি, ‘হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’ প্রকল্পটি রূপায়ণ করা না হলে এ রাজ্যের সমস্ত স্বাস্থ্য প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়েছে দিল্লি। এর পরই নাম বদলে ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ করে প্রকল্পটি রূপায়ণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী দু’বছরের মধ্যে সমস্ত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র দোতলা করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি জেলার নার্সিং স্কুলগুলিতে জেএনএমদের প্রশিক্ষণ দিতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy