Advertisement
E-Paper

খুনের আসামিকেই খুন! যাবজ্জীবন কারাদণ্ড! চার বছর আগের মামলায় সাজা ঘোষণা কৃষ্ণনগর আদালতে

নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার অন্তর্গত দোগাছি পঞ্চায়েতে একটি খুনের মামলায় বুধবার সাজা ঘোষণা হল। পদ্মপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদার শেখ হত্যা মামলায় দোষী মাহফুজ শেখের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল কৃষ্ণনগর জেলা আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৭

—প্রতীকী চিত্র।

খুন-অপহরণের মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধেও। সেই মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলে যুবক। তাঁকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন পাওনা নিয়ে ঝামেলার জেরে! চার বছর আগে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার অন্তর্গত দোগাছি পঞ্চায়েতে সেই খুনের মামলায় বুধবার সাজা ঘোষণা হল। পদ্মপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদার শেখ হত্যা মামলায় দোষী মাহফুজ শেখের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল কৃষ্ণনগর জেলা আদালত। মাহফুজকে ১৫ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছ’মাসের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ওই মামলা মাহফুজের ভাই আয়ুব শেখ এবং হালিমা বিবি নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধেও মামলা চলেছিল। কিন্তু তথ্যপ্রমাণের অভাবে তাঁদের মুক্তি দিয়েছে আদালত।

সরকার পক্ষের আইনজীবী অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিচারক বসন্ত শর্মা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামি মাহফুজ শেখকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন। তথ্যপ্রমাণের অভাবে বাকি অভিযুক্তদের মুক্তি দিয়েছেন মাননীয় বিচারক।’’

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর সকাল ৮টা নাগাদ মাহফুজের ভাই আয়ুবের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ইবাদুর শেখ। কিন্তু আয়ুব তাঁকে পাওনা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। উল্টে ইবাদুরকে মারধর ও গালিগালাজ করেন তিনি। বাড়ি থেকেও তাড়িয়ে দেন। সেই সময়ে ঘটনাস্থলেই ছিলেন মাহফুজ। আয়ুবের হাতে মার খেয়ে ইবাদুর তাঁর আত্মীয় আবদার ও অন্য লোকজনকে নিয়ে মাহফুজের বাড়ি যান। দু’পক্ষই একে অপরের উপর চড়াও হয়। সেই সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবদারকে কুপিয়ে খুন করেন মাহফুজ। ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবদার। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে বেথুয়াডহরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আবদারের পরিবার নাকাশিপাড়া থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিল। হালিমা বিবি, আয়ুব এবং মাহফুজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই মতো তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গ্রেফতার হন তিন জন। কিন্তু আদালত সূত্রে খবর, খুনের ঘটনায় যে আয়ুব এবং হালিমা বিবিও জড়িত, তা প্রমাণ করা যায়নি আদালতে। তাই তাঁদের মুক্তি দিয়েছেন বিচারক।

Life Imprisonment Murder Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy