প্রতীকী ছবিী
করোনাভাইরাস আতঙ্কের জেরে মাস্ক ও ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’-এর কালোবাজারি রুখতে আগে থেকেই মাঠে নেমেছিল রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল এবং কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)। তারা বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার-কে ‘অত্যাবশ্যক পণ্য’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করায় এ বার ওই দু’টি পণ্য বেআইনি ভাবে মজুত করলে এবং নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি দামে বিক্রি করলে সাত বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা, দুই হতে পারে।
কালোবাজারি রুখতে রাজ্যে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বেঙ্গল কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিসিডিএ) তার সদস্যদের শনিবার নির্দেশিকাও পাঠিয়েছে।
মজুত ও কালোবাজারি রুখতে ১৯৫৫ সাল থেকে দেশে লাগু হয়েছে অত্যাবশ্যক পণ্য আইন। এই পণ্যের তালিকায় ওষুধ, সার, ডাল, ভোজ্য তেল, পেট্রোলিয়াম, পেট্রোলিয়াম জাত পণ্য রয়েছে। কিন্তু সরকার প্রয়োজনে যে কোনও পণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় করতে পারে। কেন্দ্র জানিয়েছে, ৩০ জুন পর্যন্ত ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’ ও ‘মাস্ক’ অত্যাবশ্যক পণ্য হিসেবে গণ্য হবে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার মজুত বা কালোবাজারি না হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ এই দুই পণ্যের বেআইনি মজুতদারি চলছে কি না এবং অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে কি না তা দেখতে ইবি-র দল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম-সহ বিভিন্ন হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায় গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রের দাবি, মাস্কের আকাল রয়েছে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। যদিও স্যানিটাইজ়ারের ঘাটতি নেই বলে বিসিডিএ-র দাবি।
বিসিডিএ-র সাধারণ সম্পাদক সজল গঙ্গোপাধ্যায় শনিবার জানান, তাঁদের সংগঠনের সদস্যদের কেউ এই কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে কোচবিহারের মাথাভাঙায় এমন একটি ঘটনায় তাঁরা
প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পরে সংশ্লিষ্ট দোকান বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য চিন থেকে আমদানি বন্ধ। ফলে জোগান কমেছে। চলতি মাসের শুরুতে যে ‘এন-৯৫’ মাস্ক মহারাষ্ট্রের একটি সংস্থা থেকে তিরিশ টাকা প্রতি পিস কেনা হয়েছে, সেটি এখন দেড়শো টাকা প্রতি পিস হিসেবে কিনতে হচ্ছে। একই কথা বলছেন সজলবাবুরও। তাঁর বক্তব্য, এর ফলেই বাজারে কিছুটা দাম বেড়ে যাচ্ছে। বাড়তি দাম ঠেকাতে তাই ওই সংস্থাগুলিকেও নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলেছেন তাঁরা। সদস্যদের নির্দেশিকায় তাই চড়া দামে মাস্ক না কেনার জন্যও বলেছে বিসিডিএ। বিসিডিএ-র নির্দেশ, নিয়ম মেনে ন্যূনতম লাভেই তা বিক্রি করুক দোকানগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy