প্রতীকী ছবি।
দিন কয়েক আগেই তমলুক জেলা হাসপাতালের আইসোলেশনে নন্দকুমারের এক প্রৌঢ়ার মৃত্যুর হয়েছিল। তাঁর লালারসের নমুনা করোনা নেগেটিভ হলেও সাময়িক বন্ধ করা হয়েছিল হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। চলেছিলজীবাণুমুক্তকরণের কাজ।
জেলা হাসপাতালের সেই আইসোলেশনেই সোমবার ভোরে মৃত্যু হল আর এক বৃদ্ধের। রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ চণ্ডীপুরের বাসিন্দা ৬৪ বছরের ওই বৃদ্ধকে শ্বাসকষ্ট এবং অন্য উপসর্গ নিয়ে জেলা হাসপাতালের আইসোলশনে ভর্তি করানো হয়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ভর্তির তিন ঘণ্টা পরে সোমবার ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। ভর্তির পরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বৃদ্ধের মৃত্যু হওয়ায় তাঁর করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি বলে জানিয়েছে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বৃদ্ধের মৃতদেহ সৎকারের জন্য ‘কোভিড’ প্রটোকল মেনেই সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ছিল। আজ লালারসের নমুনা সংগ্রহের আগেই ওঁর মৃত্যু হয়।ফলে এই মুহূর্তে আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয় ওঁর দেহে কোভিড ১৯-এর জীবাণু ছিল কি না। তবুও আমরা কোনও ঝুঁকি নিচ্ছি না। করোনা আক্রান্ত দেহ যেভাবে প্লাস্টিকের জ্যাকেটে ভরে সৎকারের জন্য পাঠানো হয়, সেভাবে দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেব। পুলিশ সুপারকে বলেছি ওই দেহটি পুলিশের উপস্থিতিতে সৎকার করতে, যাতে কেউ ওই দেহের কাছাকাছি না যায়। মৃতের পরিবারের লোকজনদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।’’
আইসোলেশনে আরও মৃত্যুতে চিকিৎসক ও কর্মীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। জেলা হাসপাতালের কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের আইসোলেশনে ভর্তি করার পরে দ্রুত তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। পিপিই এবং বিমার দাবিতে এ দিন হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy