Advertisement
E-Paper

রোগী কম, বন্ধ হচ্ছে অধিকাংশ সেফ হোম

কলকাতা ও জেলায় ভাড়াবাড়ির সব সেফ হোম আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হবে। সরকারি বাড়ির সেফ হোমগুলি আরও কিছু দিন রাখতে চায় সরকার।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:১১
বাতিল: রোগী না আসায় আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামের সেফ হোম। স্থানীয় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর জানিয়েছেন, প্রয়োজনে এই সেফ হোম ফের চালু করা হতে পারে। —নিজস্ব চিত্র

বাতিল: রোগী না আসায় আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামের সেফ হোম। স্থানীয় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর জানিয়েছেন, প্রয়োজনে এই সেফ হোম ফের চালু করা হতে পারে। —নিজস্ব চিত্র

করোনার আগ্রাসন যখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল, তখন গ্রাম ও বস্তি এলাকার আক্রান্তদের নিভৃতবাসের জন্য বেশ কিছু ‘সেফ হোম’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাজ্যের সেই সব সেফ হোমে ১১,৫০৭ জনকে রাখার পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০০ সেফ হোমে আছেন মাত্র ৫৬৭ জন! ২০০টি সেফ হোমের ৮০ শতাংশই খালি পড়ে আছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এই অবস্থায় অধিকাংশ সেফ হোম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।

কলকাতা ও জেলায় ভাড়াবাড়ির সব সেফ হোম আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হবে। সরকারি বাড়ির সেফ হোমগুলি আরও কিছু দিন রাখতে চায় সরকার। ‘‘সংক্রমণ কমছে। মানুষের সাহসও বেড়েছে। এখন করোনা হলে বাড়িতেই থাকতে পছন্দ করছেন বেশির ভাগ মানুষ। তাই ভাড়ার সেফ হোম বন্ধ হচ্ছে। প্রতি মাসে এই খাতে কয়েক কোটি টাকা বেঁচে যাবে,’’ বলেন স্বাস্থ্য ভবনের এক শীর্ষ কর্তা। অর্থ দফতরের এক কর্তা জানান, সেফ হোম বন্ধ হলে সেই খরচ বাঁচবে। টিকাকরণের ‘কোল্ড চেন’ তৈরির কাজে বাড়তি নজর দেওয়া যাবে।

গ্রামে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে নিজেকে আলাদা রাখার ঠাঁই মিলছিল না। শহরে একই সমস্যা হচ্ছিল বস্তিগুলিতে। তাই সেফ হোম তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। করোনা-ভীতি কমতে থাকায় কেউই আর সেখানে থাকতে চাইছেন না। কলকাতার আনন্দপুর, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, হজ হাউস ও নিউ টাউনে এনবিসিসি-র বাড়িতে সেফ হোম চলছে। সরকারি দু’টি বাড়ি রেখে সব বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সামান্য বাড়ল দৈনিক সুস্থতা, ভাবাচ্ছে সংক্রমণের সংখ্যা

আরও পড়ুন: উলেনের মৃত্যুতে বিতর্ক অব্যাহত, জবাব দেরিতে, করা হল না ময়না-তদন্ত

রাজ্যের কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্কের মেন্টর এবং গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ডের আহ্বায়ক অভিজিৎ চৌধুরীর বক্তব্য, এখনও কিছু মানুষকে সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করে সেফ হোমের রাখার সুযোগ রয়েছে। সরকার সেই ভারসাম্য মেনেই ধাপে ধাপে সেফ হোম বন্ধ করতে চাইতে পারে।

Safe Home Coronavirus in West Bengal Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy