অপেক্ষা: শিকেয় দূরত্ব-বিধি, বাসের জন্য ভিড় করে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা। সোমবার, খিদিরপুর মোড়ে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
রাস্তায় বাড়তি ৪০০ সরকারি বাসের উপস্থিতি সোমবার খাস কলকাতার বাসিন্দাদের অফিসযাত্রা কিছুটা মসৃণ করল। কিন্তু জেলা এবং কলকাতা লাগোয়া শহরতলির ভোগান্তির ছবি এ দিনও খুব একটা বদলায়নি।
সোমবার অফিসটাইমে ডানলপ, কামালগাজি এবং চিড়িয়ামোড়ে যাত্রীর তুলনায় বাস ছিল কম। উত্তরে ব্যারাকপুর, বিমানবন্দর, বাগুইআটি-সহ একাধিক জায়গাতেও যাত্রীদের যথেষ্ট ভিড় চোখে পড়েছে। দক্ষিণে বারুইপুর, সোনারপুর, খিদিরপুর-সহ কয়েকটি জায়গায় চাহিদার তুলনায় বাসের সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম। সকাল সাড়ে ৯টায় সোনারপুর-সল্টলেক বা ১১টায় গড়িয়া-বারাসত রুটের বেসরকারি বাস এ দিনও ছিল প্রায় বাদুড়ঝোলা। পাটুলি থেকে নিউটাউনের ইকোস্পেস যাওয়ার জন্য ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রীদের। ওই সব রুটের অধিকাংশ বেসরকারি বাসেই যাত্রীরা উঠেছেন দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে।
সরকারি বাসের সংখ্যা বাড়লেও এ দিন বেসরকারি বাসের সংখ্যা বাড়েনি। মিনিবাসের সংখ্যাও গত সপ্তাহের তুলনায় কমে আসায় বিবাদী বাগের যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। উত্তরের কিছু রুটে মিনিবাস সচল হলেও দক্ষিণের অধিকাংশ রুটে তাদের প্রায় চোখেই পড়েনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কালকের করোনা-বৈঠকে বলার ডাক পেল না বাংলা
বারুইপুর ও সোনারপুরে সমস্যা রয়েছে অটো নিয়েও। ফলে সন্ধ্যার দিকে অফিসফেরতাদের অনেককেই চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে।
এ দিন রাজ্য পরিবহণ নিগম, ট্রাম কোম্পানি এবং ভূতল পরিবহণ নিগমের বাসগুলিকে অনেক বেশি মাত্রায় শহরকেন্দ্রিক পরিষেবায় ব্যবহার করা গিয়েছে। তাতে প্রান্তিক বাসস্ট্যান্ডগুলিতে অফিসযাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে। যদিও রাস্তায় অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের ভোগান্তি তেমন কমেনি। আসন খালি না-থাকায় বাসে উঠতে পারেননি অনেকেই।
আরও পড়ুন: লকডাউন: যেখানে যেমন অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নিদান?
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ৫০ আসনের ২০০ বাস ভাল চললেও এ দিন পথে নামা বেসরকারি ২০০টি এসি বাস নিয়ে বিভ্রান্তি কাজ করেছে। বাসের রুট বা স্টপেজ নিয়ে সংশয় ছিল যাত্রীদের মধ্যে। সংশয় ভাড়া নিয়েও। সরকারি ও বেসরকারি এসি বাস পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকলেও যাত্রীরা সরকারি বাসে ওঠার আগ্রহ দেখাচ্ছেন এমন ছবিও চোখে পড়েছে।
বেসরকারি এসি বাসের এক কর্মী বলেন, ‘‘রুটে আমাদের পরিচিতি নেই। তাই যাত্রী পেতে অসুবিধে হচ্ছে।’’ ফলে এ দিন সাড়ে ১১টার পরে বহু রুটেই ওই সব এসি বাসকে যাত্রীর অভাবে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
সোমবার হুগলির মশাটে আরামবাগ-ধর্মতলা রুটে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের দূরপাল্লার বাস থামিয়ে কিছু যাত্রী জোর করে ওঠার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। উত্তরে শিলিগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ছাড়াও দক্ষিণে পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বেসরকারি বাসের সংখ্যা যথেষ্ট কম ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy