Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Corona patient

হাসপাতাল থেকে ঝাঁপ, মৃত্যু করোনা রোগীর

শালবনি করোনা হাসপাতালের চারতলার এক ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শালবনি শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৩৭
Share: Save:

স্বাস্থ্যকর্মী থেকে নিরাপত্তারক্ষী— সকলের নজর এড়িয়ে হাসপাতালের চারতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন এক করোনা রোগী। চিত্তরঞ্জন বেরা (৫৮) নামে ওই প্রৌঢ়কে বাঁচানো যায়নি। শালবনি করোনা হাসপাতালের ওই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। মৃতের এক পরিজনের ক্ষোভ, ‘‘এই তো ব্যবস্থা। ভর্তি থাকা রোগী ঝাঁপ দিচ্ছেন। অথচ, হাসপাতালের কেউ কিছু জানতে পারছেন না!’’

শালবনি করোনা হাসপাতালের চারতলার এক ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। আশেপাশে খুঁজেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়েছিল। শনিবার সকালে হাসপাতালের পিছন দিকে তাঁর দেহ মেলে। কিন্তু তিনি ওয়ার্ড থেকে বেরোলেন কী ভাবে? সদুত্তর মেলেনি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডলের কাছে। আর হাসপাতালের এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, ‘‘অনেক রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। কেউ কেউ তখন ঘুমিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন। দেখছি ঠিক কী হয়েছে।’’

ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, হাসপাতালের চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। পরিজনেদের দাবি, চিত্তরঞ্জন নিখোঁজ থাকার কথা গোড়ায় তাঁদের জানানো হয়নি। মৃতের ভাইপো বলেন, ‘‘শুক্রবার চেষ্টা করেও হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। শনিবার সকালে শারীরিক অবস্থা জানতেই যোগাযোগ করেছিলাম। তখন বলা হয় যে রোগীকে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘন্টা তিনেক পরে হাসপাতাল থেকে জানায়, রোগীকে পাওয়া গিয়েছে। তবে মৃত অবস্থায়।’’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। যদিও মৃতের ভাইপোর দাবি, ‘‘ওঁর কোনও মানসিক সমস্যা ছিল না।’’ চিত্তরঞ্জন গত ২২ এপ্রিল থেকে এই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। করোনার লক্ষণ থাকায় ওই দিন পরিজনেরা গোড়ায় তাঁকে ঘাটাল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অ্যান্টিজেন পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। প্রথমে তাঁকে ভর্তি করা হয় ঘাটাল হাসপাতালেই। তবে ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁকে শালবনি করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

শনিবার এই হাসপাতালে ৫১ জন ভর্তি ছিলেন। গত বছরও এখানে শৌচাগারে গলায় কাপড় জড়িয়ে এক রোগী আত্মহত্যা করেছিলেন। এ ক্ষেত্রেও পুলিশের অনুমান, চিত্তরঞ্জন রাতে শৌচাগারে গিয়েছিলেন। পরে শৌচাগারের জানলা ভেঙেই ঝাঁপ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ওই রোগী শৌচাগারের দিকে যাচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suicide Salboni Corona patient
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE