Advertisement
১১ মে ২০২৪
CPIM

CPIM: বিধানসভার মতো শূন্য না হয়! আশঙ্কায় পুরভোটে বাছাই ওয়ার্ডে লড়ার প্রস্তুতি বামের

চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে রাজ্যে পুরভোট হতে পারে ধরে নিয়ে পরিস্থিতি জরিপ করেছে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২১ ০৬:২৩
Share: Save:

বিধানসভা ভোটের মতো পুরভোটেও একেবারে শূন্য হাতে ফিরলে আরও বড় কেলেঙ্কারি হবে! তাই পুরভোটে এখন থেকেই ওয়ার্ড বাছাই করে প্রস্তুতি শুরু করতে চাইছে সিপিএম। সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়ার পথে এ বার আর হাঁটতে চায় না তারা। দলের মতে, রাজ্যের প্রায় ১১৬টি পুরসভায় ভোট ঘোষণা হলে সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়ার মতো সাংগঠনিক পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক যুক্তিও নেই বামেদের। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের তরফে জেলায় জেলায় দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, পুর-এলাকার ওয়ার্ড এবং তার জন্য প্রার্থী বেছে নিয়ে স্থানীয় স্তরে এখন থেকেই কাজ শুরু করে দিতে হবে। পুরভোটে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হবে কি না, সেই ভাবনাও পরে ভাবা যাবে।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে রাজ্যে পুরভোট হতে পারে ধরে নিয়ে পরিস্থিতি জরিপ করেছে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। আগে এক বার পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করেও মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না হওয়ায়। পুরভোট হলে শাসক দলই পুলিশ-প্রশাসনের সুবিধা নেবে এবং পরিস্থিতি আদৌ স্বস্তিদায়ক হবে না— ধরেই রেখেছে সিপিএম। তাদের সামনে এখন লক্ষ্য, পুরসভা ধরে ধরে ওয়ার্ড বাছাই করে সেখানে লড়াইয়ের উপরে জোর দেওয়া এবং ভোটপ্রাপ্তির হিসেবকে ‘সম্মানজনক’ জায়গায় নিয়ে যাওয়া। সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে গেলে জয়ের সম্ভাবনা এবং ভোটপ্রাপ্তির হার, দু’টোই আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। সিপিএম সূত্রের খবর, আগামী ৯ নভেম্বর দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক ডাকা হচ্ছে। সেখানেই পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বিশদে কথা হতে পারে।

দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে আপাতত জেলার সিপিএম নেতৃত্বকে বলা হচ্ছে, যেখানে যতগুলি ওয়ার্ডে লড়াই করা সম্ভব, তার জন্য প্রার্থী বাছাই করে নিয়ে জনসংযোগ এবং ভোটের সাংগঠনিক কাজ শুরু করে দেওয়া হোক। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘সুষ্ঠু ভাবে পুরভোট হবে, এমন মনে করার কারণ নেই। তার মধ্যেও আমাদের চেষ্টা করতে হবে শক্তি বুঝে ওয়ার্ডভিত্তিক লড়াই চালানোর। সংগঠনের এমন কঠিন অবস্থায় এলোমেলো কাজ করা অর্থহীন!’’ বামফ্রন্ট যখন সর্বত্র লড়বে না, সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার রাস্তা আরও খোলা থাকছে। সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, আপাতত তাঁরা নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করবেন। তার পরে কংগ্রেস পুরভোটে জোটে আসতে চাইলে সেইমতো আলোচনা করে ব্যবস্থা হবে। কিন্তু সব ওয়ার্ডে প্রার্থী না দিলে কি নিজেদের দুর্বলতা আগেই স্পষ্ট করে ফেলা হবে না? বামফ্রন্টের এক শরিক দলের রাজ্য নেতার মতে, ‘‘বাস্তব বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে! চেষ্টা করলে সব ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়তো এখনও দেওয়া যায়। কিন্তু বামফ্রন্ট যে হেতু অনেক দিন জয়ের রাস্তায় নেই, প্রার্থীদের অনেকেই ভোটে লড়ার উৎসাহ দেখাবেন না। নাম কা ওয়াস্তে প্রার্থী দেওয়ার চেয়ে শক্তি আন্দাজ করে লড়তে যাওয়া ভাল।’’ দিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ট্রেন ধরার আগে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে দাঁড়িয়ে বুধবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘তৃণমূলই তো পুরভোটের জন্য তৈরি নয়! নইলে এতগুলো পুরসভায় এত দিন ভোট না করে ফেলে রেখেছে কেন!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CPIM Municipality Election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE