E-Paper

ব্রিগেড প্রস্তুতি সিপিএমের, ‘নবান্ন চলো’র পথে শুভেন্দুরা

ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্য কৃষক সভা, খেতমজুর ইউনিয়ন, সিটু এবং পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির নেতৃত্বের সঙ্গে বুধবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দফতরে বৈঠকে বসেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ০৮:৪৪
সিপিুএমের কৃষক, কেতমজুর ও শ্রমিক সংগঠনের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশের প্রচার-সভা।

সিপিুএমের কৃষক, কেতমজুর ও শ্রমিক সংগঠনের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশের প্রচার-সভা। —নিজস্ব চিত্র।

আগের বছরে রাজনৈতিক কর্মসূচির তীব্রতা বাড়াচ্ছে যুযুধান সব শিবির। কৃষক, খেতমজুর, শ্রমিক ও বস্তি সংগঠনকে সামনে রেখে আগামী ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিএম। ব্রিগেডের প্রস্তুতির গতিও বাড়াতে শুরু করেছে তারা। আবার এপ্রিলের শেষের দিকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে চাকরি-প্রার্থীদের নিয়ে ‘নবান্ন অভিযানে’র পরিকল্পনা হচ্ছে। তবে বিজেপির পতাকা নিয়ে নয়, ওই কর্মসূচি হবে অরাজনৈতিক মোড়কে।

ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্য কৃষক সভা, খেতমজুর ইউনিয়ন, সিটু এবং পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির নেতৃত্বের সঙ্গে বুধবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দফতরে বৈঠকে বসেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যেরা। পার্টি কংগ্রেসের জন্য দলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের বড় অংশই আগামী সপ্তাহ জুড়ে তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে থাকবেন। তার আগেই ব্রিগেডের প্রস্তুতি সংক্রান্ত আলোচনা সেরেছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, জেলায় জেলায় যথাসম্ভব স্থানীয় স্তরে ব্রিগেডের প্রচার চালানোর উপরে জোর দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনগুলির আয়োজনে জেলা ও এলাকাভিত্তিক কনভেনশন অবশ্য শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একগুচ্ছ নীতির প্রতিবাদে এ বারের ব্রিগেডে বক্তা-তালিকায় আছেন সিপিএমের খেতমজুর ইউনিয়নের নেত্রী বন্যা টুডু। সমাবেশের প্রস্তুতি-পর্বের সভায় তিনি বলেছেন, ‘‘চোরের সরকার আর ডাকাতের সরকার চলছে রাজ্যে ও দেশে। আদিবাসীরা মাঠে খাটে। তাদের তৈরি চাল শহর ও গ্রামের মানুষ খায়। আদিবাসী খেতমজুরেরা কী পায়?’’ রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে দেওয়া পাট্টা তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘পাট্টার জমি কেড়ে নেওয়ার সময়ে বলা হচ্ছে ‘লক্ষীর ভান্ডার’ তো পাচ্ছো! গরিব মানুষের পেটে লাঠি পড়ছে। এখন সেই লাঠি আমরা টেনে ধরছি!’’ বেলঘরিয়ায় এ দিনই গণ-কনভেনশনে সিটুর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘স্বাধীনতার আগে লড়াই করে যে শ্রম আইনগুলি আদায় করা হয়েছে, সেগুলিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শ্রম কোডের মাধ্যমে বাতিল করে দিচ্ছে। শ্রম কোড চালু হলে শ্রমিকেরা দাস-শ্রমিকে পরিণত হবেন। দেশ জুড়ে আক্রান্ত হবে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও শ্রমিকদের অধিকার।’’

নিজ়াম প্যালেসে এ দিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, গ্রুপ-ডি ঐক্য মঞ্চ-সহ সরকারি কর্মচারী ও চাকরি-প্রার্থীদের ১০টি মঞ্চের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, চাকরি দিতে হবে নয়তো ২০২৬-এ গদি ছাড়তে হবে— এই ডাক দিয়ে এপ্রিলের চতুর্থ সপ্তাহে নবান্ন অভিযান হবে। অরাজনৈতিক ওই পরিকল্পনা গোছানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির আইনজীবী-নেতা কৌস্তভ বাগচী এবং মঞ্চগুলির কয়েক জন প্রতিনিধিকে। শুভেন্দু অবশ্য বলেছেন, ‘‘চাকরি-প্রার্থীরা এপ্রিল মাসে বড় আন্দোলনে নামছেন। আমি বলব না। ওঁরা ঘোষণা করবেন। আমায় যদি সঙ্গে থাকতে বলেন, আমি সামনের সারিতে থাকব।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ছয় হাজার বেআইনি চাকরি বাঁচাতে ১৯ হাজারের চাকরি খেতে চাইছেন। রাজ্যে চাকরি-প্রার্থীরা রাস্তায় বসে আছেন। আর উনি ৮ কোটি টাকা খরচ করে বিদেশে গিয়েছেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CPM CPM Brigade Rally Suvendu Adhikari

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy