Advertisement
E-Paper

মাঝপথ থেকে ফিরে আসতে হল বামেদের

এ দিন সকালে বারাসতে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে বসে প্রতিনিধি দলটি কী ভাবে বাসিরহাটে ঢুকবে, তার পরিকল্পনা করে নেয়। সেই মতো ঠিক হয়, তাঁরা বারাসত থেকে টাকি রোড ধরে সোজা পথে বসিরহাটের দিকে যাবেন না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৭ ০২:১৩
থমকে: বেলিয়াঘাটায় টাকি রোডে বাম প্রতিনিধিদের আটকে দিল পুলিশ। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

থমকে: বেলিয়াঘাটায় টাকি রোডে বাম প্রতিনিধিদের আটকে দিল পুলিশ। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

ঘুরপথে রুট বদল করেও শেষ রক্ষা হল না।

বসিরহাটে যাওয়ার পথে শুক্রবার বাম প্রতিনিধি দলকে পুলিশ আটকে দিল অশোকনগরের মানিকতলায়।

এ দিন সকালে বারাসতে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে বসে প্রতিনিধি দলটি কী ভাবে বাসিরহাটে ঢুকবে, তার পরিকল্পনা করে নেয়। সেই মতো ঠিক হয়, তাঁরা বারাসত থেকে টাকি রোড ধরে সোজা পথে বসিরহাটের দিকে যাবেন না। সেই মতো তাঁরা পুলিশের চোখকে ধুলো দিতে বেছে নেন যশোর রোড।

কিন্তু পাঁচটি গাড়ির কনভয় যখন দত্তপকুর ছাড়িয়ে গিয়েছে, তখন দত্তপুকুর থানার আইসি বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই খবর পৌঁছয়। বিড়ার কাছে যশোর রোডে তখন দত্তপুকুর থানা একটি পুলিশের গাড়ি টহল দিচ্ছিল। আইসি প্রতিনিধি দলকে আটকানোর নির্দেশ দেন তাদের। ওই নজরদারি গাড়িটি দ্রুত গতিতে প্রতিনিধি দলের গাড়িগুলিকে ওভারটেক করে অশোকনগরের মানিকতলা এলাকায় রাস্তার উপরে আড়াআড়ি দাঁড় করিয়ে দেয়। আটকে পড়েন বাম প্রতিনিধিরা। তার আগে অবশ্য গাড়িগুলি গুমার কাছে অশোকনগর থানার পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে চলে এসেছিল। মানিকতলা এলাকায় পৌঁছে যান দত্তপুকুর থানার আইসি, ও অশোকনগর থানার ওসি পলাশ চট্টোপাধ্যায়। সময় তখন সকাল সাড়ে ১০টা। এ দিন বাম প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্য, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, আব্দুস সাত্তাররা। দত্তপুকুর থানার আইসি তাঁদের বলেন, ‘‘বসিরহাট মহকুমায় ১৪৪ ধারা জারি আছে। আপনারা ওখানে যাবেন না। সেলিম তাঁকে জানান, এটা তো বারাসত মহকুমা। তা হলে কেন তাঁদের আটকানো হচ্ছে? আইসি বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা, আপনারা এগোলেই বসিরহাট মহকুমায় পৌঁছে যাবেন। আর তা হলেই ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন হবে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা ফিরে যান। না হলে গ্রেফতার করতে বাধ্য হব।’’

সে কথা শুনে বামেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ওই এলাকা ছেড়ে বারাসতের দিকে রওনা দেন। পরে কাচকল এলাকায় তাঁরা ফের পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

সেলিম বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে বসিরহাটে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়েছে। রাজ্য সরকারের যে দায়-দায়িত্ব ছিল, তারা তা পালন করতে পারেনি। মানুষ আক্রান্ত।’’ কংগ্রেস, বিজেপির দলকেও এ দিন বসিরহাটে যাওয়ার পথে আটকে দিয়েছে পুলিশ।

Basirhat Violence CPM মহম্মদ সেলিম সুজন চক্রবর্তী তন্ময় ভট্টাচার্য Hindu Muslim Mohammed Salim
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy