মলাক্কা প্রণালীর কাছে তৈরি হয়ে গেল ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’! স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বুধবার বিকেলেই। মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের অতি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে আরও এক নিম্নচাপ অঞ্চল। যদিও আশ্বাস দিয়ে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গে এর সরাসরি কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে এর জেরে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে হাওয়ার গতি পরিবর্তন হতে পারে।
বুধবার ভোরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’, যার অর্থ সিংহ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এই নাম প্রস্তাব করেছে। বুধবার বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। সেনিয়ারের দাপটে আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি চলতে পারে তামিলনাড়ুর উপকূলীয় জেলাগুলিতে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে কেরল এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে প্রবল বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। এই সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তা ছাড়া, আলিপুর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন শ্রীলঙ্কা উপকূলে নতুন একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
বুধবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা সামান্য কমেছে। সঙ্গে ভোরের দিকে হালকা কুয়াশায় ঢেকেছে বেশ কিছু জেলা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রায় বিশেষ হেরফের হবে না। পরবর্তী দু’দিনে আবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস চড়তে পারে পারদ। সঙ্গে আগামী তিন-চার দিন ভোরের দিকে কুয়াশার সম্ভাবনা বাড়বে। তবে বঙ্গের সর্বত্র আপাতত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। রাজ্যের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ১.৭ ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৩ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের থেকে ২.৯ ডিগ্রি কম।