Advertisement
E-Paper

প্রয়াত বড়মা, সাম্মানিক ডিলিট নিয়ে কী হবে? শুরু জল্পনা

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা আচার্যকে বিষয়টি জানাব। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯ ০৫:১৯
মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা ‘বড়মা’ বীণাপাণি দেবী প্রয়াত। —ফাইল চিত্র।

মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা ‘বড়মা’ বীণাপাণি দেবী প্রয়াত। —ফাইল চিত্র।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য সেজে উঠেছে কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। আজ, বুধবার সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার বিকেলেই কোচবিহারে পৌঁছন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। কিন্তু যাঁকে সাম্মানিক ডিলিট দেওয়ার কথা ছিল, সেই মতুয়া সম্প্রদায়ের বড়মা বীণাপাণি দেবী প্রয়াত হন মঙ্গলবার রাতে। এই পরিস্থিতিতে সাম্মানিক ডিলিট নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা আচার্যকে বিষয়টি জানাব। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
এ বারে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন। সেই অনুষ্ঠানেই বড়মাকে ডিলিট সম্মান দেওয়া নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বড়মার বরাবর ভাল সম্পর্ক। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বড়মার সঙ্গে দেখা করেন। এরপরেই মতুয়া মন পেতে বড়মাকে ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, উত্তরবঙ্গেও মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ বসবাস করেন। মতুয়া মহাসঙ্ঘের দাবি, ২০১১-১২ সালের সমীক্ষায় উত্তরবঙ্গে মতুয়া সম্প্রদায়ের ৪৫ লক্ষ মানুষ রয়েছে। বর্তমানে সেই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হয়েছে। কোচবিহারেও কয়েক লক্ষ মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। তার মধ্যে দিনহাটা, ভেটাগুড়ি, বক্সিরহাট, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা, সোনাপুরে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। ওই এলাকাগুলিতে তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী। লোকসভা নির্বাচনের মুখে সেই সব এলাকায় পা ফেলতে শুরু করেছে বিজেপিও। ভেটাগুড়ির তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বহিষ্কৃত নেতা নিশীথ প্রামাণিক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গেও মতুয়া সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ রয়েছেন বলে নিশীথবাবুর অনুগামীদের দাবি। বামেদের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তৃণমূল এবং বিজেপি জাতি ও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। সেই রাজনীতিকে আরও উস্কে দেওয়ার জন্যেই বড়মাকে ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছেন, মহিলা সমাজ সংস্কারক হিসেবেই বড়মাকে ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
আজ, কোচবিহার জেলা প্রশাসনের উৎসব হলঘরে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠান শুরু হবে। ১২টার মধ্যে তা শেষ হবে।

Baroma D Litt
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy