ডিএ বা মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলন। ফাইল চিত্র।
নিয়মবিধি অনুযায়ী বদলি সরকারি চাকরির অঙ্গ। রাজ্য সরকার সম্প্রতি ১০ জন কর্মচারীকে বদলির নির্দেশ দিয়েছে। বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ জানাচ্ছে, ওই ১০ জনের মধ্যে ছ’জন তাদের আন্দোলনে যুক্ত। এই বদলির বিরুদ্ধে প্রথমে ‘স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল’ (স্যাট) বা রাজ্য প্রশাসনিকে ট্রাইবুনাল এবং পরে প্রয়োজনে তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টে যাবেন বলে রবিবার জানান মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। টুইট ও ই-মেল করে আন্দোলনের বিষয়ে এ দিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অবহিত করানো হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘ডিএ-র দাবিতে গত ১০ মার্চ কর্মবিরতির জন্য ২০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে শো-কজ় করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শো-কজ়ের উত্তর দেওয়ার পরে পর্ষদ কী পদক্ষেপ করে, তা দেখে আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে।’’ আজ, সোমবার কর্মীরা তাঁদের দফতরের আধিকারিকদের কাছে এই বিষয়ে স্মারকলিপিও দেবেন।
মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, ‘‘১২ জুলাই কমিটি পরিচালিত যৌথ মঞ্চের সদস্যেরা এ দিন আমাদের মঞ্চে আসেন। সেখানে যৌথ সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২৮ মার্চ, মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে ধিক্কার দিবস পালন করা হবে। কালো ব্যাজ পরে তা পালন করবেন শিক্ষকেরাও। টিফিনের সময় বিক্ষোভও দেখানো হবে।’’ ২৯ মার্চ, বুধবার শহিদ মিনার চত্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সমাবেশ রয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে-দিন তাঁরা সেখানেই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গণ-অনশন করবেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা। আগেই ঘোষণা করা হয়েছে, ৩০ মার্চ হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে মহামিছিল করে শহিদ মিনারে পৌঁছবেন তাঁরা। সেখানে হবে মহাসমাবেশ।
নির্ঝর কুণ্ডু নামে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘‘আমরা ৫৯ দিন ধরে শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান করছি। আমাদের আন্দোলনের কথা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে এ দিন ইমেল ও টুইট করেছি। টুইট ও মেল করব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy