Advertisement
E-Paper

১২ ঘণ্টার বন্‌ধে স্তব্ধ পাহাড়

চা বাগান শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে পাহাড়ে আন্দোলন শুরু করেছে সাত শ্রমিক সংগঠনের যৌথ কমিটি। সেই কমিটিতে আছে বিনয়পন্থী মোর্চা, তৃণমূল, সিপিএম, হিল কংগ্রেস, হরকা বাহাদুরের জাপ, গোর্খা লিগ এবং সিপিআরএম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:১৬
পাহাড়ে আন্দোলন শুরু করেছে সাত শ্রমিক সংগঠনের যৌথ কমিটি।

পাহাড়ে আন্দোলন শুরু করেছে সাত শ্রমিক সংগঠনের যৌথ কমিটি।

আড়াই বছর আগেকার আতঙ্কের স্মৃতি উস্কেই শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বন্‌ধে স্তব্ধ হয়ে রইল পাহাড়। শুধু তাই নয়, গরুবাথান থেকে সুকনা, সমতলের কাছেও ব্যারিকেড বসিয়ে গাড়ি আটকালেন আন্দোলনকারীরা। পুজোর মরসুমে এ দিনই ভিড় জমতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গে। সকাল থেকে ট্রেন, বিমানে শিলিগুড়ি নেমে পাহাড়ের দিকে যাওয়ার কথা ছিল পর্যটকদের। কিন্তু বন্‌ধ ও আন্দোলনের জেরে বিকেলের আগে তাঁরা সে পথে এগোতেই পারেননি।

চা বাগান শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে পাহাড়ে আন্দোলন শুরু করেছে সাত শ্রমিক সংগঠনের যৌথ কমিটি। সেই কমিটিতে আছে বিনয়পন্থী মোর্চা, তৃণমূল, সিপিএম, হিল কংগ্রেস, হরকা বাহাদুরের জাপ, গোর্খা লিগ এবং সিপিআরএম। ওই দিন কমিটির শীর্ষ নেতারা দার্জিলিঙের মোটর স্ট্যান্ডে অনশনে বসেন। সেই মঞ্চ ঘুরে যান জিএনএলএফের প্রধান মন ঘিসিং। বাইরে থেকে এই
আন্দোলনকে সমর্থন করেছে বিমলপন্থী মোর্চাও। তারই অঙ্গ হিসেবে এ দিন পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ ডাকা হয়। পাশাপাশি দিনের শেষে বিনয় তামাং জানিয়ে দেন, তিনি রবিবার থেকে মোটর স্ট্যান্ডে অনশনে বসবেন। যদিও এ দিন সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক করে পুজোর সময়ে আন্দোলন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যৌথ কমিটি, কিন্তু বিনয়ের অনশন পাহাড়কে নতুন করে গোলমালের দিকে নিয়ে যাবে কি না, তাই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনেই।

২০১৭ সালের টানা ১০৪ দিনের বন্‌ধের স্মৃতি মাথায় রেখেই তাই পর্যটন ব্যবসায়ীরাও চিন্তায়। এ দিন তাঁরা পর্যটকদের অনেককেই শিলিগুড়ির হোটেল বা লজে রেখেছিলেন বিকেল পর্যন্ত। কেউ কেউ আবার পর্যটকদের দিনভর শিলিগুড়ির বিভিন্ন পুজো ঘুরিয়ে দেখান। সঙ্গে চলে খাওয়াদাওয়া। শেষে বিকেলে সকলে পাহাড়ের দিকে রওনা হন।

পর্যটন সংস্থাগুলির যৌথ মঞ্চ ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের’ সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘বন্‌ধের ঘোষণা হঠাৎ হওয়ায় অনেক পর্যটকেরই সূচি বদলানো যায়নি। যাঁদের এ দিন পাহাড় থেকে নামার কথা, তাঁদের ভোর ভোর নামিয়ে আনতে হয়েছে। আর যাঁদের পাহাড়ে ওঠার কথা, তাঁদের দিনভর শিলিগুড়িতে রেখে সন্ধ্যার মুখে পাহাড়ে পাঠানো হয়েছে।’’

সংগঠনের অনুরোধ ছিল, পর্যটকদের যেন বন্‌ধ আওতার বাইরে রাখা হয়। আন্দোলনকারীরা তা মানতে চাননি। ২০১৭ সালের ১০ জুন হঠাৎই পর্যটকদের পাহাড় থেকে নেমে যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিমল গুরুং। অনেকেরই প্রশ্ন, এখনকার পরিস্থিতি কি সে দিকেই গড়াবে? এই প্রসঙ্গ তুলেছে ‘পাহাড় তরাই সংযুক্ত পরিবহণ মহাসঙ্ঘ’ও। সংগঠনের সভাপতি প্রদীপ লামা আবার দার্জিলিং ট্যুর অপারেটরদের সংগঠনেরও সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘‘চা শ্রমিকদের প্রতি অন্যায় হচ্ছে। আমরা সব সময় ওদের পাশে আছি। কিন্তু মরসুমের মধ্যে আচমকা বন্‌ধ, ধর্মঘট হওয়ায় আমরাও ক্ষতির মুখে পড়ছি। প্রতিবাদ অন্য ভাবেও হতে পারে।’’

Darjeeling Strike
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy