Advertisement
E-Paper

মরা কাকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট

মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির টিলাবাড়ি পর্যটন কেন্দ্রে রাত কাটান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি জানান, গোটা সময়ে চার বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। কেন এমন পরিস্থিতি, সেই প্রশ্ন তুলে তিনি তুলোধোনা করেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্তাদের।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৩
পাশাপাশি: কোচবিহারে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

পাশাপাশি: কোচবিহারে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

তারে ঝুলে থাকা একটি কাকের দেহাবশেষই নাকানিচোবানি খাওয়াল মন্ত্রী থেকে আমলা, সকলকে।

মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির টিলাবাড়ি পর্যটন কেন্দ্রে রাত কাটান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি জানান, গোটা সময়ে চার বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। কেন এমন পরিস্থিতি, সেই প্রশ্ন তুলে তিনি তুলোধোনা করেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্তাদের। তার পরেই কারণ খুঁজতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে সংস্থাগুলি।

সেই তদন্তে প্রাথমিক জানা গিয়েছে, টিলাবাড়ি পর্যটন কেন্দ্রের বিদ্যুৎবাহী তারে মঙ্গলবার কোনও একটা সময়ে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়ে একটি কাকের। অভিযোগ, তা নজরেই পড়েনি কারও। ধীরে ধীরে দেহটি তারের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। দেহের অংশটি ক্রমশ নীচের দিকে ঝুলে পড়তে থাকে এবং ছুঁয়ে ফেলে লোহার খুঁটির অংশ। বিদ্যুতের তার এবং লোহার খুঁটি পাখির দেহের মাধ্যমে যতবারই জুড়ে গিয়েছে, ততবারই বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ।

কী ভাবে জানা গেল বিষয়টি? বৃহস্পতিবার রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের একটি উচ্চপদস্থ দল টিলাবাড়িতে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেন। সূত্রের খবর, তখনই পাখির দেহাবশেষ নজরে আসে। নিগমের এক কর্তা বলেন, “একটি পাখি তারে মরে ছিল। সে জন্যই লাইন ট্রিপ করে। সরকারি রিপোর্টে যা-ই লেখা হোক না কেন, এটাই প্রাথমিক কারণ।” বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা অবশ্য বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। তারা তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।

নিগমের আরও দাবি, বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি নেই। নিগম থেকে তিন বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কথা বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধে এবং রাতে দু’বার এবং বুধবার সকালে এক বার। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য নিজেই চারবারের কথা জানিয়েছেন।

নিগমের তরফে আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপিরা যেখানে থাকবেন, সেখানে জেনারেটর ছাড়াও ইনভাটার বা ব্যাটারি রাখতে হয়। যাতে কোনও কারণে লোডশেডিং হলে, জেনারেটর চালু করার সময়টুকু পর্যন্তও যাতে অন্ধকার না থাকে। টিলাবাড়িতে কোনও

ব্যাটারির ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ। দাবি, তার জেরেই পরপর কয়েক বার অন্ধকারে থাকতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে।

Electric Supply Tilabari Mamata Banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy