Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
সাইটে নাম ১৭ হাজার

সময়সীমা শেষ, প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ অধরাই

ঘোষণা করা হয়েছিল ফলাফল ঘোষণার পাঁচ দিনের মধ্যে এই পর্বের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হবে। রবিবার সেই পাঁচ দিনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। কিন্তু এ দিন পর্যন্ত ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া টেট-উত্তীর্ণ ৪৩ হাজার কর্মপ্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১৭ হাজারের নাম ওয়েবসাইটে দিতে পেরেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৩৪
Share: Save:

ঘোষণা করা হয়েছিল ফলাফল ঘোষণার পাঁচ দিনের মধ্যে এই পর্বের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হবে। রবিবার সেই পাঁচ দিনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। কিন্তু এ দিন পর্যন্ত ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া টেট-উত্তীর্ণ ৪৩ হাজার কর্মপ্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১৭ হাজারের নাম ওয়েবসাইটে দিতে পেরেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সব পরীক্ষার্থীর নাম সাইটে প্রকাশ করে কবে যে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হবে, সেই ব্যাপারে কোনও দিশা দেখাতে পারেননি পর্ষদ-কর্তারা।

গত মঙ্গলবার প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল ঘোষণা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘোষণা করেছিলেন, পরবর্তী পাঁচ দিন অর্থাৎ রবিবারের মধ্যে ৪৩ হাজারের মতো শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। পর্ষদ সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দূরে থাক, রবিবার পর্যন্ত মাত্র ১৭ হাজার সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আসলে ওয়েসাইটে নাম দেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতেই অহেতুক সময় নষ্ট করার খেসারত দিতে হচ্ছে পর্ষদকে।

২০১৪ সাল থেকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ (টেট) নিয়ে একের পর এক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। কখনও প্রশ্নপত্র উধাও, কখনও বা মামলা-মকদ্দমা— টেট অনিশ্চয়তা রাজ্যের শিক্ষাজগতের সামগ্রিক অনিশ্চয়তার অঙ্গ হয়ে উঠেছিল। হাজার হাজার টেট-পরীক্ষার্থী হাপিত্যেশ করে বসে ছিলেন নিয়োগ পরীক্ষার ফল ঘোষণা আর নিয়োগপত্রের জন্য। মঙ্গলবার মানিকবাবুর আশ্বাসে আশার আলো দেখেছিলেন তাঁরা। তবে ঘোষণা আর বাস্তবের মধ্যে যে পার্থক্য বিস্তর, সেটা স্পষ্ট হতে বেশি সময় নেয়নি। পর্ষদ-প্রধানের ঘোষিত পাঁচ দিনের সময়সীমার শেষে দেখা গেল, একের পর এক অস্বচ্ছতায় ঢেকে যাচ্ছে স্কুলে নিয়োগের যাবতীয় আশা-ভরসা।

পাঁচ দিনে ৪৩ হাজার প্রার্থী নিয়োগের কাজ শেষ করার আশ্বাস আপাতত বিশ বাঁও জলের তলায়! ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে সাইটে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছে পর্ষদ। অগ্রগতি বলতে এটুকুই।

শিক্ষামহলের প্রশ্ন, শুধু ১৭ হাজার প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেই দায় এড়াতে পারে না পর্ষদ। তা হলে তারা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল কেন?

এ দিন প্রশ্ন করা হলে মানিকবাবু সরাসরি জবাবের রাস্তায় যাননি। তিনি শুধু জানান, বাংলা মাধ্যম ছাড়া অন্য মাধ্যমের জন্য প্রশিক্ষণহীন টেট-উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেদের নাম দেখতে পারবেন।

কিন্তু রাজ্যে তো বাংলা মাধ্যমের স্কুলই বেশি। তা হলে ওই মাধ্যমের উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হল না কেন?

মানিকবাবুর বক্তব্য, বাংলা মাধ্যমের স্কুলের সংখ্যা বেশি। তাই প্রার্থীও বেশি। সেই জন্য সময় নেওয়া হচ্ছে। ‘‘সব কাজ সময়মতোই হয়ে যাবে। কোনও সমস্যা হবে না,’’ ফের আশ্বাস দিয়েছেন পর্ষদ-প্রধান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Appointment Primary School Teachers TET
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE