Advertisement
০১ মে ২০২৪
Yaas

Yaas: ইয়াসে দুর্যোগের আশাঙ্কায় মোমবাতি বাড়ন্ত বাজারে, প্রায় দীপাবলির মতো চাহিদা ক্রেতাদের

বিক্রেতাদের দাবি, কিছু ক্রেতার অতি উদ্বেগও চাহিদা তৈরি করেছে। কেউ কেউ একসঙ্গে বেশি করে কিনছেন। ফলে চাহিদা বাড়ছে।

ইয়াসের আশঙ্কায় মোমবাতির বাজার।

ইয়াসের আশঙ্কায় মোমবাতির বাজার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২১ ১৩:২১
Share: Save:

দাদা মোমবাতি আছে? এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে খাতা বইয়ের দোকানেও। এমন অভিজ্ঞতা হুগলির উত্তরপাড়ার এক ব্যবসায়ীর। তিনি বলেন, ‘‘আমার দোকানে বই, খাতা, পেন— এই সব লেখাপড়ার জিনিস মূলত বিক্রি হয়। এখন স্যানিটাইজারও রাখি। তবে ক্রেতারা যে ভাবে মোমবাতির খোঁজ করছেন, তাতে মনে হচ্ছে রাখলে ভালই হত।’’

আসলে যে সব দোকানে বারোমাস মোমবাতি বিক্রি হয়, সেখানে স্টক ফুরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। ইয়াস ঘূর্ণঝড় আছড়ে পড়লে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ভয় রয়েছে। আমপনের অভিজ্ঞতা থেকেই বহু মানুষ বাড়িতে বেশি করে মোমবাতি আর দেশলাই কিনে রাখতে চাইছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি পাইকারি বাজার বন্ধ থাকায় খুচরো বিক্রেতারা চাহিদা মতো কিনতে পারছেন না। আবার কর্মীরা না থাকায় স্থানীয় উৎপাদনও বন্ধ। ফলে ইয়াসের আশঙ্কায় মোমবাতির বাজার তৈরি হলেও তার পর্যাপ্ত জোগান নেই। স্বাভাবিক ভাবেই চাহিদা বেড়েছে। ফলে অর্থনীতির নিয়ম মেনে দামও বেড়েছে। এক ক্রেতার কথায়, ‘‘যে মোমবাতি এমনিতে ২০ টাকায় বিক্রি হয়, সেগুলোই এখন ২৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে।’’ অন্যান্য দশকর্মা সামগ্রীর সঙ্গে মোমবাতিও বিক্রি করেন ব্যবসায়ী সুবীর দাস। তিনি বলেন, ‘‘ইদানীং মোমবাতির দাম বেড়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগেই ডজন প্রতি ২০ টাকা বেড়ে গিয়েছিল। সেটা এখন আবার আরও বেড়েছে। তার উপরে চাইলেও পাওয়া যাচ্ছে না। বেশি টাকায় কেনার জন্য বিক্রির দামও বাড়াতে হচ্ছে।’’

মোমবাতির বিক্রি মূলত হয় দীপাবলিতে। নিয়মিত পূজার জন্যও অনেক কেনেন। ইদানীং নীল মোমবাতির চাহিদাও বেড়েছে শনি মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সে সব প্রায় বন্ধ অনেক দিন। ফলে মোমবাতির খুব বেশি স্টক থাকে না ব্যবসায়ীদের কাছে। এর ফলে বাজারে কিছুটা চাহিদা তৈরি হয়েছে। তবে এক বিক্রেতার দাবি, কিছু ক্রেতার অতি উদ্বেগও বাড়তি চাহিদা তৈরি করেছে। কেউ কেউ একসঙ্গে বেশি করে কিনছেন। ফলে চাহিদা বাড়ছে। এক সঙ্গে ৮টি মোমবাতি ও এক প্যাকেট দেশলাই কিনেছেন কোন্ননগরের বাসিন্দা শৌভিক চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমপানের সময় আমাদের এলাকায় ৩ দিন বিদ্যুৎ ছিল না। খুব দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল। এ বার তাই আগাম প্রস্তুত থাকছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cyclone Yaas Yaas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE