প্রতীকী ছবি।
কলকাতা দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুরের পর ডেঙ্গি-মৃত্যুর মানচিত্রে এ বার ঢুকে পড়ল বর্ধমান। বুধবার বর্ধমানের গলসির ৯ বছরের সমাপ্তি মেটের মৃত্যু হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণই সমাপ্তির মৃত্যুর অন্যতম কারণ বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
বর্ধমান জেলায় বিভিন্ন হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা জেলা প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে জ্বর নিয়ে ৫৭ জন ভর্তি হয়েছেন।
ডেঙ্গি উপসর্গ-সহ জ্বরে মৃত্যুতে সবার উপরে উত্তর ২৪ পরগনা। আশোকনগর, দেগঙ্গা, হাবড়া, বসিরহাট, কেষ্টপুর, নিউটাউন, দক্ষিণ দমদমে ঘরে ঘরে জ্বর। জ্বরে আক্রান্ত আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা তনুজা বিবি (৩৩) বৃহস্পতিবার হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অশোকনগর থানার কোয়ালিপোতা গ্রামের ওই বাসিন্দাকে এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ অচৈতন্য অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। ভর্তি করার দশ মিনিটের মধ্যে তিনি মারা যান।
বুধবার মনোহর পুকুর এলাকায় এক বালিকার পরে ডেঙ্গিতে কলকাতায় আরও এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শহরের অভিজাত এলাকা বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের একটি আবাসনের বাসিন্দা সম্পদদেবী বৈদ (৬২) বুধবার রাতেই দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। মৃতার পরিবার জানিয়েছে, জ্বর বা গা-হাত-পা ব্যথার মতো উপসর্গ তাঁর ছিল না। মঙ্গলবার রাতে তাঁর আচমকা খিঁচুনি শুরু হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পরেই ডেঙ্গির সংক্রমণ ধরা পড়ে।
পশ্চিম মেদিনীপুরেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ৬ দিনে জেলায় আরও ১৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। খড়্গপুর পুর এলাকা, মেদিনীপুর পুর এলাকা, খড়্গপুর-১, কেশপুর ব্লকে নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তাঁরা সকলেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৩ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy