Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
dev

Dev-Rukmini: রাজনীতি করবে কি না দেবের সিদ্ধান্ত, কিন্তু ও যেন মানুষের পাশে থাকে: রুক্মিণী

রুক্মিণী নিজেও ছাত্রী জীবনে সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু কখনওই চাননি, সে কথা বাইরে আসুক।

রুক্মিণী জানালেন দেবকে নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা।

রুক্মিণী জানালেন দেবকে নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২২ ১১:৪০
Share: Save:

দেবের রাজনৈতিক জীবন এবং পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে নিজের ভাবনা খোলসা করলেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় দেবের ‘বিশেষ’ বন্ধু বললেন, ‘‘দেব এমন এক জন মানুষ, যে নিজের সিদ্ধান্তটুকু নিজে নিতে পারে। ও রাজনীতিতে থাকবে কি না সেটা ওর সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমি একশো শতাংশ চাই, দেব মানুষের পাশে থাকুক। আমি ওকে মানুষ হিসাবে যতটা চিনি, আমি জানি, সেটা ও থাকবেও।’’

রুক্মিণী নিজেও ছাত্রী জীবনে সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু কখনওই চাননি, সে কথা বাইরে আসুক। সেই রুক্মিণী জানালেন দেবকে নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা। তাতে উঠে এল রাজনীতিতে থাকা, না থাকার বিষয়। মানুষের পাশে থাকার মতো প্রসঙ্গ। উল্লেখযোগ্য ভাবে আনন্দবাজার অনলাইনকে রুক্মিণী জানিয়ে দিলেন, ঠিক কেন তাঁর দেবকে ভাল লাগে। তাঁর কথায়, ‘‘দেব রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তির মোহমায়ায় ভোগে না। কিন্তু তা-ও ও এখানে আছে, কারণ, শুধু অভিনেতা হিসেবে দেব যদি দুটো মানুষকে সাহায্য করতে পারত, তা হলে সাংসদ হওয়ার দরুণ দুটো মানুষের জায়গায় বারোটা মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারবে। ওই দশটি মানুষকে বাড়তি সাহায্য করার জন্যই হয়তো আজ ও এখানে আছে। এটাই আমার বিশ্বাস। আর যদি সেই কারণে ওকে থাকতে হয়, তা হলে থাকুক।’’

রুক্মিণীর এই মন্তব্যের ঠিক আগেই দেবের মুখে শোনা গিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। তারকা-মমতা সম্পর্ক কেমন? ‘দিদি’কে আমন্ত্রণ জানাবেন তাঁর নতুন ছবি ‘কিশমিশ’ দেখতে? জবাবে দেব বলেন, ‘‘আমি দিদিকে কোনও দিন প্রশ্ন করিনি, আপনি কোনটা দেখবেন বা কোনটা দেখবেন না। ওঁকে এই প্রশ্ন করার ক্ষমতা আমার আছে বলে মনে হয় না। খোকাবাবুর প্রিমিয়ারে এসেছিলেন। শুধু দলনেত্রী নন, উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। প্রচণ্ড ব্যস্ত। খুব দরকার না হলে আমি ওঁকে ডিস্টার্ব করি না। সিনেমা হলে শোগুলো যদি ঠিকঠাক হয়ে যায়, করোনায় কিছু লোক বাইরে আটকে থাকলে, তাঁদের ফেরানো— এ জন্য দিদিকে এক বার ফোন করে রিকোয়েস্ট করা। আমি যত বার দিদিকে অনুরোধ করেছি, দিদি মান রেখেছেন। আমার আট বছরের রাজনীতির জীবনে দিদিকে হয়তো আটটা মেসেজ করেছি। আমি দলকে সম্মান করি এবং আমি চেষ্টা করি, আমার জন্য দলের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। অবশ্যই আমি চাইব দিদিকে কিশমিশ দেখাতে। কিন্তু কোনও দিন সাহস করে বলে উঠতে পারব না, দিদি কিশমিশ দেখবেন কি?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE