এগরা, বজবজ, দুবরাজপুরের পর মঙ্গলবার সকালে মালদহেও একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। ফাইল চিত্র
বেআইনি বাজি কারখানায় পর পর বিস্ফোরণের ঘটনায় এ বার রাজ্য পুলিশ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকল নবান্নে। গত মঙ্গলবার থেকে এই মঙ্গলবার— এই এক সপ্তাহে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ আর হাজার হাজার কেজি বাজি উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে তেতে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতি। এগরা, বজবজ, দুবরাজপুরের পর মঙ্গলবার সকালে মালদহেও বিস্ফোরণ হয়েছে। যদিও দুবরাজপুরের ঘটনাটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ নয়। সেখানে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে পুলিস সূত্রে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় নবান্নে। সূত্রের খবর, সেখানে একাধিক জেলা পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল মনোজ মালবিয়া। নবান্নের বৈঠকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে রাজ্যের ডিজি মালবিয়ার কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে একাধিক পুলিশ সুপারকে। তাঁদেরকে জানাতে বলা হয়েছে, কেন বেআইনি বাজির কারখানা সংক্রান্ত খবরাখবর জেলার গোয়েন্দাদের কাছে থাকছে না?
মঙ্গলবার নবান্নের ওই বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি মালবিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা। নবান্ন থেকে তাঁরা পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলার পুলিশ সুপারদের তাঁদের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকি, বেশ কয়েক জন পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন ডিজি। নবান্ন সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই সুপারদের সঙ্গে কথা বলার সময় উদ্ধার হওয়া বেআইনি আতশবাজির পরিমাণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মালবিয়া।
মঙ্গলবার দুপুরে নবান্নে ওই বৈঠক শুরু হলেও তা বিকেল চারটে পর্যন্ত শেষ হয়নি। বৈঠকে জেলার পুলিশ সুপারদের বিশেষ নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন জেলার গোয়েন্দা বিভাগকে সক্রিয় করেন। একই সঙ্গে বেআইনি আতশবাজি কতটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তার তালিকা লিখিত ভাবে জমা দিতে বলা হয়েছে এসপিদের। এ ছাড়া বেআইনি বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের তরফে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার মধ্যে প্রতিটি থানাভিত্তিক এই তালিকা দ্রুত জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলার পুলিশ সুপারদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy