রাস্তার ধারে ধানখেত থেকে উদ্ধার হল যুব তৃণমূল নেতার বস্তাবন্দি দেহ। মৃন্ময় ঘোষ (৩৫) নামে ওই যুবক উত্তর ২৪ পরগনার বিশপুর আঞ্চলিক যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই ঘটনায় সিপিএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ঘটনাস্থলে যান জেলার (উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘একটি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত চলছে। আমাদের অনুমান, শ্বাসরোধ করে মৃন্ময়কে মারা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক মহিলা-সহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাতে আর ফেরেননি হাসনাবাদের বিশপুরের বাসিন্দা মৃন্ময়বাবু। রাতে মোবাইলও স্যুইচ্ড অফ ছিল। এ দিন ভোরবেলায় গ্রামের লোকজন ধানের জমিতে বড় একটা বস্তা পড়ে থাকতে দেখতে পান। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বস্তা খুলতেই মৃন্ময়বাবুর মৃতদেহ বেরিয়ে পড়ে। তাঁর পরনে কোনও পোশাক ছিল না। গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো ছিল। এই ঘটনায় পুলিশ দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেন তৃণমূলের কয়েকশো নেতাকর্মী। মৃতদেহের পাশে দলীয় পতাকা পুঁতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের দাবি, এক সময়ে সিপিএম এলাকার খাস জমি দখল করেছিল। সেই জমি উদ্ধারের কাজ করছিলেন মৃন্ময়। তার জেরেই এই খুন। বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিস আলি বলেন, ‘‘মৃন্ময় খাসজমি উদ্ধার করে গরিব মানুষদের বিলিবণ্টন করছে বলে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে ছেলেটাকে খুন করল।’’ নিহতের বাবা শিবদাসবাবুও সে কথাই বলেছেন।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মৃণাল চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, ‘‘এই ঘটনার সাথে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমরাও চাই, পুলিশ প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করুক।’’ দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে বেলা ১২টা নাগাদ দেহ উদ্ধার করতে পারে পুলিশ।