Advertisement
১০ মে ২০২৪

কান্তি-বিমলের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ

কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থককে নিয়ে রায়দিঘি থানার সামনে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ-সভা করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। রায়দিঘি-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, দলের মথুুরাপুর-২ জোনাল কমিটির সম্পাদক বিমল ভাণ্ডারী-সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার এবং প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির দাবিতেই ওই সভা।

রায়দিঘিতে নিহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে নচিকেতা ও দোলা সেন।

রায়দিঘিতে নিহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে নচিকেতা ও দোলা সেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়দিঘি শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৪ ০২:৩৩
Share: Save:

কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থককে নিয়ে রায়দিঘি থানার সামনে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ-সভা করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। রায়দিঘি-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, দলের মথুুরাপুর-২ জোনাল কমিটির সম্পাদক বিমল ভাণ্ডারী-সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার এবং প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির দাবিতেই ওই সভা। এ নিয়ে থানায় স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ী, দলের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী প্রমুখ। সিপিএমের দাবি, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মী-সমর্থক ওই কর্মসূচিতে সামিল হন। পুলিশের হিসেবে, প্রায় তিন হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল।

দিন কয়েক আগে রায়দিঘির খাড়ি এলাকায় জমির দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে তিন তৃণমূল সমর্থক এবং এক সিপিএম সমর্থক নিহত হন। দলীয় সমর্থকদের পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে সিপিএমের ২১ জন নেতা-কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয় সেই থানায়। সেই তালিকায় কান্তিবাবু এবং বিমলবাবুর নামও রয়েছে। বিমলবাবুকে সোমবার গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর আগে গ্রেফতার করা হয় আরও চার সিপিএম সমর্থককে।

রায়দিঘি থানার সামনে সিপিএমের বিক্ষোভ।

এরই প্রতিবাদে এ দিন ওই সভায় শ্যামলবাবু বলেন, “নব্য তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে পুরনোদের লড়াইয়েই ওই হত্যাকাণ্ড। যার কাঠের গোলায় সালিশি হয়েছিল, তাকে বা মূল অভিযুক্ত ওয়াজেদ খামারুকে পুলিশ ধরছে না।” সুজনবাবু বলেন, “বিমলবাবু-কান্তিবাবুর নাম মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হল। অতীতে এ ভাবে আমাকেও জড়ানো হয়েছে।” ধৃত বিমলবাবুকে যত দিন হাজতবাস করতে হবে, তত দিন তাঁর পরিবারের দায়িত্ব দল বহন করবে বলেও এ দিন ঘোষণা করেন সুজনবাবু। কান্তিবাবুকে গ্রেফতার করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রায় সব নেতাই। সিপিএমের ওই বিক্ষোভ-সভার ঘণ্টাখানেক আগে ঘোষেরচক গ্রামে নিহত দলীয় সমর্থকদের বাড়িতে যান তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নচিকেতা। তাঁরা নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানান। দোষীদের শাস্তির দাবি তোলেন। দোলা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁরা সেখানে যান।

বৃহস্পতিবার দিলীপ নস্করের তোলা ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE