Advertisement
E-Paper

আদালত অবমাননা, পুরপ্রধানের অফিস-চেম্বারে তালার নির্দেশ

এক কর্মীর বেতন সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালত অবমাননার দায়ে বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের অফিস ও চেম্বারে তালা দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অশোক দাস অধিকারী একটি মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার নির্দেশ দেন, শ্রীরামপুরের এসডিওকে অবিলম্বে ওই কাজ করতে হবে। তাঁকে সাহায্য করবেন এসডিপিও। চাবি থাকবে এসডিওর কাছে। তিন সপ্তাহ পরে ফের শুনানি হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৪ ০০:০৮

এক কর্মীর বেতন সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালত অবমাননার দায়ে বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের অফিস ও চেম্বারে তালা দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

বিচারপতি অশোক দাস অধিকারী একটি মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার নির্দেশ দেন, শ্রীরামপুরের এসডিওকে অবিলম্বে ওই কাজ করতে হবে। তাঁকে সাহায্য করবেন এসডিপিও। চাবি থাকবে এসডিওর কাছে। তিন সপ্তাহ পরে ফের শুনানি হবে। তখনও যদি আদালতের নির্দেশ পালিত না হয়, তা হলে আদালত কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

পুরপ্রধান অজয়প্রতাপ সিংহ এ দিন বলেন, “আদালতের নির্দেশ এখনও হাতে পাইনি। নির্দেশ পেলে নির্দিষ্ট করে এ ব্যাপারে বলা যাবে।”

দীর্ঘ দিন ধরে নিয়ম অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না, এই মর্মে পুতুল দেবনাথ নামে ওই পুরসভার এক কর্মী আদালতে মামলা করেন। আদালতে ওই মহিলা জানান, তিনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী। অথচ, তাঁকে পুরসভার বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয় না। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান অজয়প্রতাপ সিংহের কাছে আবেদন করেও কোনও সুরাহা হয়নি। চেয়ারম্যানের আইনজীবী অবশ্য দাবি করেন, পুরসভা সব কর্মীকেই সঠিক বেতন দেয়। যদি ওই আবেদনকারীর ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি হয়ে থাকে, তা হলে পুরসভা তা ঠিক করে নেবে। দু’ পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি পুরসভাকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে পুতুলদেবীকে সঠিক বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

অভিযোগ, ওই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও পুরসভা কিছুই করেনি। তখন মহিলা ফের পুরপ্রধানের কাছে আবেদন করেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় আবেদনকারী পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন। সেই মামলারই শুনানি ছিল এ দিন।

এত দিনেও ওই মহিলা সঠিক বেতন পাননি শুনে বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও পুরসভা তা অমান্য করেছে।” পুরসভার আইনজীবী বলেন, “ওই কর্মী আসলে অস্থায়ী।” ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, “এত দিন মামলা চলার সময়ে পুরসভার পক্ষ থেকে এক বারও অস্থায়ী বলে তাঁকে চিহ্নিত করা হয়নি।” এর পরেই বিচারপতি জানিয়ে দেন, পুরসভার বেতনক্রম অনুযায়ীই ওই মহিলা কর্মীকে বেতন দিতে হবে। যত ক্ষণ না তা হচ্ছে, তত ক্ষণ চেয়ারম্যানের অফিস ও চেম্বার তালাবন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি।

পুরসভা সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের পাওনাগণ্ডার বিষয়টি শ্রম দফতরের বিবেচ্য। তাদের নির্দেশ পুরসভা বাস্তবায়িত করে। পুতুলদেবীর ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও নির্দেশ পুর-কর্তৃপক্ষ পাননি। ওই মহিলা পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। অস্থায়ী কর্মীদের ব্যাপারে সরাসরি সরকারি নির্দেশ আছে, রাজ্যের কোনও পুরসভাতেই তাঁদের স্থায়ী করা হবে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে পুরসভার তরফে আদালতে আবেদন করা হবে।

kolkata baidabati salary
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy