ভোরবেলা এক ইমারতি দ্রব্যের গুদামের ভিতরে মুখে বালি চাপা অবস্থায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখে চমকে গিয়েছিলেন এলাকাবাসীরা। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে বালি সরাতেই দেখে মৃত ওই যুবকের গলায় চারটি ও পিঠে একটি গভীর ক্ষত। চারিদিকে ছড়িয়ে রক্ত। শনিবার সকালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বালির আনন্দ নগরে। পুলিশ জানায়, রবি গুহ (২৯) নামে মৃত ওই যুবক পেশায় রিকশা চালক। পুলিশ জানায়, বছর ছয়েক আগে বাড়ির অমতে বালির এক তরুণীকে বিয়ে করে আলাদা থাকতে শুরু করেন রবি। তাঁর বাবা-মা বেলুড়ের চাঁদমারির বাসিন্দা। রবির স্ত্রী শুক্লা লিলুয়ায় একটি ছাতা কারখানায় কাজ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তা নিয়েই তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। এর পর রাত ন’টা নাগাদ রবি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ এক প্রতিবেশীর থেকে ফোন নিয়ে রবির সঙ্গে কথা বলেন শুক্লা। তিনি পুলিশকে জানান, রবি ফিরতে দেরি হবে জানালে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। শেষে শনিবার তিনি খবর পান বাড়ির কাছেই এক যুবকের দেহ মিলেছে। শুক্লাই গিয়ে রবির দেহ শনাক্ত করেন।
পুলিশ জেনেছে, বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন রবি। এ নিয়েই শুক্রবার কারও সঙ্গে তাঁর বচসা হয় বলে ধারণা পুলিশের। শুক্লা পুলিশে অভিযোগ করেন, কয়েক দিন আগে মামা নামে পরিচিত এক ব্যক্তি রবির কাছে ধারের টাকা ফেরত চান। তিনি রবিকে প্রাণে মারার হুমকিও দেন। পুলিশ জানায়, রবির দেহ যেখান থেকে মেলে, তার কিছু দূরেই তালা লাগানো অবস্থায় তাঁর রিকশাটি ছিল। তার চাবি ছিল রবির পকেটেই। আর রবির পাশ থেকে মেলে পেরেক লাগানো একটি কাঠের বাটাম। মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে সম্ভবত বালি চাপা দেওয়া হয় রবিকে।
রবির মা মিতা গুহ আবার পুলিশে অভিযোগ করেন, শুক্লা ও তাঁর মা রবির উপর নানা ভাবে অত্যাচার করতেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy