তারাপীঠে পুজো দিয়ে গাড়িতে ফেরার পথে হুগলিতে একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একটি শিশু-সহ তিন জনের। আহত হন সাত জন। হতাহতদের মধ্যে এক জন কলকাতার, বাকিরা হাওড়ার বাসিন্দা। সোমবার দুপুরে দাদপুরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবল গতিতে পাশ কাটাতে গিয়ে একটি ট্রাক্টরকে ধাক্কা মারে গাড়িটি।
পুলিশ জানায়, দুলাল বণিক (৪২), অভিষেক সেন (৩০) এবং সাড়ে তিন বছরের বৃষ্টি সেনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টির বাড়ি হাওড়ার দানেশ শেখ লেনে। দুলালবাবু থাকতেন হাওড়ারই শরৎ চ্যাটার্জি লেনে। তাঁর শ্যালক অভিষেক কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন। আহতদের চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিন তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্ঘটনার কথা জেনেছেন। তাঁর নির্দেশ মতো আহতদের চিকিৎসার সব রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মৃতদের দেহের ময়না-তদন্তও যাতে তাড়াতাড়ি হয় সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শরৎ চ্যাটার্জি লেন এবং দানেশ শেখ লেনের দু’টি পরিবার এবং তাদের কয়েক জন বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে ১০ জন গত শুক্রবার তারাপীঠে পুজো দিতে যান। দুলালবাবুই ছিলেন মূল উদ্যোক্তা। সোমবার ফেরার পথে ওই দুর্ঘটনায় দুলালবাবুদের গাড়িটির সামনের দিক দুমড়ে-মুচড়ে যায়। কর্তব্যরত সিভিক পুলিশের কর্মীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালেই মারা যায় বৃষ্টি। সে তার মা-বাবার সঙ্গে তারাপীঠ গিয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গাড়িচালক বান্টি হাজরার আঘাত গুরুতর। রাতে ওই দম্পতিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গাড়ির যাত্রী পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের গাড়িটি প্রচণ্ড গতিতে চলছিল। আলুর ট্রাক্টরটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যে ওই ভাবে ধাক্কা মেরে দেবে, তা কেউই বুঝে উঠতে পারিনি।” বান্টির দাবি, “আমি ঠিকই চালাচ্ছিলাম। ট্রাক্টরটিই ডান দিকে আচমকা সরে আসে। আর তাতেই এই দুর্ঘটনা।”
হাওড়া জেলার দুই মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরূপ রায়ও আহতদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজীববাবু নিজেই বিষয়টির তদারকি করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy