Advertisement
E-Paper

ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত পরিচালক

এক মহিলাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক চিত্র পরিচালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামের বাড়ি থেকে সাত্যকি তরফদার নামে ওই ব্যক্তিকে ধরে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৪ ০২:০৪

এক মহিলাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক চিত্র পরিচালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার লক্ষ্মীনাথপুর গ্রামের বাড়ি থেকে সাত্যকি তরফদার নামে ওই ব্যক্তিকে ধরে পুলিশ। তিনি একটি স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় ও পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। রবিবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

ওই মহিলার আইনজীবী শুভ্রজিত্‌ ভট্টাচার্য জানান, ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। একটি সিরিয়ালের চিত্রনাট্য লেখার জন্য সাত্যকির কাছে টাকা পেতেন অভিযোগকারিনী। সেই টাকা চাইতে গেলে সাত্যকি তাঁকে ধর্ষণ করে।” বসিরহাট জেলা হাসপাতালে মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টিভি সিরিয়ালে অভিনয়, পরিচালনা এবং নাটকের দলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় বাদুড়িয়ায় সাত্যকির বেশ নামডাক আছে। বসিরহাটের ত্রিমোহনীর বাসিন্দা ওই মহিলা পুলিশকে জানান, ২০১২ সালে প্রশাসনের পক্ষে একটি শারদ সম্মান অনুষ্ঠানের বিচারক হয়ে এসেছিলেন সাত্যকিবাবু। তখনই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়। সাত্যকিবাবুর সঙ্গে তিনি কাজ করতে চাইলে তিনি রাজি হন। ওই সময়ে সাত্যকিবাবু একটি সিরিয়াল পরিচালনার কাজ শুরু করছিলেন। সেই সিরিয়ালের চিত্রনাট্য লেখার কাজ করতেন ওই মহিলা। তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে। অভিযোগকারিনীর দাবি, চিত্রনাট্য লেখার জন্য সাত্যকিবাবুর কাছে ১২ হাজার টাকা পেতেন তিনি। কিন্তু তা দিতে টালবাহানা করছিলেন সাত্যকিবাবু। শুক্রবার দুপুর একটা নাগাদ সাত্যকিবাবুর বাদুড়িয়ায় বাড়িতে টাকা নিতে যান তিনি। অভিযোগ, তখনই তাঁকে দোতলার ঘরে নিয়ে গিয়ে সাত্যকিবাবু ধর্ষণ করেন। বাধা দিতে গেলে তাঁর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। এর পরে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে মহিলা বসিরহাট থানায় যান। তাঁকে বাদুড়িয়া থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। পর দিন, শনিবার বাদুড়িয়া থানায় গিয়ে সাত্যকিবাবুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করলে পুলিশ তাঁকে ধরে।

ওই মহিলার কথায়, “সাত্যকি আমার অসহায়তার সুযোগ নিয়ে আমায় ধর্ষণ করে।” সাত্যকিবাবু বলেন, ‘‘স্বামী নেই বলে অসহায়তার কথা বলায় চিত্রনাট্য লেখার কাজ দিয়েছিলাম। এ জন্য উনি উপযুক্ত পারিশ্রমিকও পেতেন। হয় তো কারও প্ররোচনায় আমার ভবিষ্যত্‌ নষ্ট করতেই উনি এতো বড় একটা মিথ্যা অভিযোগ আনলেন।”

বসিরহাটের গাঙআটিতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে এক ছাত্রীর প্রেমিক হাসানুর জামান মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় গ্রামে একটি সালিশি সভা বসে। তাতে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় মেয়েটি থানায় অভিযোগ করে। ওই ছাত্রীর পরিবারের দাবি, থানায় অভিযোগ জানানোর পর থেকেই তাদের পরিবারকে খুনের হুমকি দিচ্ছে হাসানুরের ভাইয়েরা। বিচারক ধৃতের ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। ধৃতের দাবি, তাকে জোর করে ফাঁসানো হয়েছে।

rape director basirhat satyaki tarafdar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy