কংগ্রেস নেতার সামনে বাড়ির দরজার সামনে পড়েছিল একটি কালো ব্যাগ। বোমা ভেবে পুলিশে খবর দেন নেতা। শুক্রবার সকালে হুগলির রিষড়ার মোড়পুকুর এলাকার ওই বাড়ির সামনে তখন হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে। তবে পুলিশ এসে সেই কালো ফোলিও ব্যাগের চেন খুলতে দেখা গেল মাটির ভাঁড়ে ছাই ভরে রেখে দিয়ে গিয়েছে কেউ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, মজা করার জন্যই এমনটি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সাবির আলি দেখেন বাড়ির সামনে ঝাউগাছের নীচে একটি কালো ব্যাগ পড়ে রয়েছে। ভাবেন বিস্ফোরক রয়েছে তাতে। এলাকাতেও বিষয়টি রটে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিড় জমে যায় সেখানে। খবর যায় রিষড়া থানায়। ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে ব্যাগটিকে জলের বালতিতে ডুবিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা। কিছুক্ষণ পরে ওসি দেবাঞ্জন ভট্টাচার্যও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ‘বোমা’র সঙ্গে বড় টর্চের রিচার্জেবল ব্যাটারি লাগানো ছিল। আর ‘বোমা’টি ছিল সুতলি দড়ি দিয়ে মোড়া। তা দেখেই খটকা লাগে পুলিশের। বোঝা যায়, বোমাটি আসল নয়। এর পরেই তাঁরা সেটি খুলতে শুরু করেন। পুলিশ জানায়, দু’টো মাটির ভাঁড়ে ঢুকিয়ে লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে দু’টির মুখ একসঙ্গে আটকানো ছিল। বাল্বের ফিলামেন্টের পিছনের অংশের সাহায্যে তার থেকে চারটি তার বের করে নেওয়া হয়। তার পরে ভাঁড় দু’টিকে সুতলি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। বেরিয়ে থাকা তারের সঙ্গে ব্যাটারিটি জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। আসল বোমা না হলেও বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না পুলিশ। জেলা পুলিশের আধিকারিকরা বলছেন, যে বা যারা এ কাজ করেছে বোমা বানানো নিয়ে তাদের কিছুটা হলেও ধারণা আছে। সাবির আলিরও বক্তব্য, বিষয়টির পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, আমাকে ভয় পাওয়ানোর জন্যই এমনটা করা হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘লোকসভা ভোটে আমি যখন কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল মান্নানের হয়ে জাঙ্গিপাড়ার দলীয় পর্যবেক্ষক ছিলাম, তখনও আমাকে হেনস্থা করা হয়।’’ শুক্রবার রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি সাবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy