বিডিও নিগ্রহের অভিযোগে আগাম জামিন পাওয়ার দিনেই ফের সরকারি গাড়ি আটকে বিডিওকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন গোঘাটের বেঙ্গাই অঘোরকামিনী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সরোজ সিংহ। দিন তিনেক জেলহাজতের পরে তাঁর জামিনও হয়। গত ২০১২ সালের ২৪ মার্চে গোঘাট ১-এর তত্কালীন বিডিও জয়ন্ত মণ্ডলের দায়ের করা সেই মামলা দু’টির মধ্যে প্রাণনাশের হুমকির মামলাটি থেকে মুক্তিলাভ করলেন অধ্যক্ষ। প্রায় দু’বছর পরে মামলটি থেকে গত ৪ মার্চ নিষ্কৃতি পাওয়ার পরে অধ্যক্ষ বলেন, “একটি মিথ্যা মামলার জেরে অপমান ও মানসিক যন্ত্রণাভোগের অবসান হল।” জয়ন্তবাবু বর্তমানে মালদার চাঁচল মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বলেন, “পুলিশ রিপোর্টে আমি সন্তুষ্ট ছিলাম না। তা ছাড়া, ইদানীং চাঁচল থেকে সুদূর আরামবাগ যেতে অসুবিধা হচ্ছিল। সব মিলিয়ে মামলাটি চালাতে চাইনি। আদালতকে লিখিত ভাবেই জানিয়ে দিয়েছিলাম, মামলার নিষ্পত্তি হলে আমার কোনও আপত্তি নেই।” নিগ্রহের মামলাটি অবশ্য এখনও বিচারাধীন।
পুলিশ জানায়, বেঙ্গাই কলেজে-সংলগ্ন বেঙ্গাই হাইস্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষাকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকে, কলেজ কর্তৃপক্ষ ‘নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে’ পরীক্ষাকেন্দ্রের পাশে কলেজের মাঠ সংস্কারের কাজ করাচ্ছেন বলে মহকুমাশাসক এবং বিডিওর কাছে অভিযোগ জানান বেঙ্গাই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১২ সালের ২৩ মার্চ বিডিও কলেজে গিয়ে দেখেন, মাঠে মাটি ফেলার কাজ চলছে। লোকের ভিড়ে এলাকা সরগরম। জয়ন্তবাবুর অভিযোগ ছিল, এলাকা পরিদর্শনের সময়ে সরোজবাবু এবং তাঁর কিছু সহকর্মী বিডিওকে কটূক্তি করেন। ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। পর দিন দুপুরে আরামবাগ আদালত সরোজবাবুর আগাম জামিন মঞ্জুর করে। ফের ওই দিন দুপুরেই বিডিও অভিযোগ দায়ের করেন, সরোজবাবু ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে আদালত-সংলগ্ন এলাকায় জয়ন্তবাবুর গাড়ি থামিয়ে তাঁকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেন ও কটূক্তি করেন। এ ছাড়াও, সরোজবাবুর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, ভয় দেখানো এবং হিংসার উদ্দেশ্যে জমায়েতের অভিযোগ এনেছিলেন জয়ন্তবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy