Advertisement
১০ মে ২০২৪

প্রচারে বাধার অভিযোগ করলেন সিপিএম প্রার্থী

সিপিএম প্রার্থী তথা আরামবাগের বিদায়ী সাংসদ শক্তিমোহন মালিকের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার আরামবাগের মাধবপুর পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন শক্তিমোহনবাবু। সঙ্গে ছিলেন দলের কয়েক জন জোনাল স্তরের নেতা।

তখনও কাটেনি সুর। প্রচারে শক্তিমোহন মালিক। মোহন দাসের তোলা ছবি।

তখনও কাটেনি সুর। প্রচারে শক্তিমোহন মালিক। মোহন দাসের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৪ ০১:২০
Share: Save:

সিপিএম প্রার্থী তথা আরামবাগের বিদায়ী সাংসদ শক্তিমোহন মালিকের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার আরামবাগের মাধবপুর পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন শক্তিমোহনবাবু। সঙ্গে ছিলেন দলের কয়েক জন জোনাল স্তরের নেতা। অভিযোগ, তাঁদের গাড়ি ঘেরাও করে হেনস্থা করা হয়। পরে মিছিলে অংশগ্রহণকারী সিপিএম কর্মীদের মারধর করে তৃণমূলের লোকজন। সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের কয়েকটি মোটর বাইকেও ভাঙচুর চলে। মাধবপুর পঞ্চায়েত-সংলগ্ন তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ের কাছে গাড়ি ঘেরাওয়ের ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আরামবাগ এসডিপিও শিবপ্রসাদ পাত্র জানিয়েছেন, প্রচার মিছিলে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। অঘটন ঘটেনি। কাউকে মারধর করা নিয়ে অভিযোগ পাইনি।

সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কমিটির নেতা তথা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোজাম্মেল হোসেনের অভিযোগ, “লোকসভা ভোটে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার জন্য তৃণমূল আক্রমণ করছে। নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি যত নিশ্চিত হচ্ছে, ততই ওদের নোংরামি বাড়ছে।” শক্তিমোহনবাবু বলেন, “আমাদের প্রচারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কর্মীদের মারধর করে এলাকা সন্ত্রস্ত করছে। সমস্ত বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছি।” আরামবাগের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার দাবি, “সিপিএম হারানো জমি ফিরে পেতে পুরনো কায়দায় গ্রাম অশান্ত করছে। তাতে গ্রামবাসীরাই প্রতিরোধ করছেন।”

এ দিন সিপিএমের প্রচারে সাকুল্যে শ’খানেক লোকজন ছিল। প্রচার শুরু হয় কানপুর গ্রাম থেকে। হামিদবাটি পেরিয়ে মাধপুরের ঝাঁপ পুকুরের কাছে পৌঁছতেই পঞ্চায়েত অফিস-সংলগ্ন তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের কাছাকাছি কয়েকশো তৃণমূল কর্মী-সমর্থক রাস্তা অবরোধ করে। গালিগালাজ চলতে থাকে। ফিরে যাওয়ার জন্য তারা সিপিএমের লোকজনকে হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। মাধবপুর গ্রামে লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন প্রার্থী। পাণ্ডুগ্রামে প্রচার সেরে মোটর বাইকে কানপুরে বাড়ি ফিরছিলেন সিপিএমের মাধবপুর শাখা সম্পাদক সুবীর ঘোষ এবং তিন দলীয় কর্মী শ্যামল সিংহ, মিন্টু কর্মকার এবং কাজল ভান্ডারি। তাঁদের রাস্তায় ঘিরে মোটর বাইক থেকে নামিয়ে লাঠি এবং রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাইকেও ভাঙচুর হয় বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE