Advertisement
E-Paper

বধূ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার সিভিক পুলিশকর্মী

বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগে বনগাঁ জিআরপির সিভিক পুলিশের এক কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাজার এলাকা থেকে কিশোর বিশ্বাস নামে ওই যুবককে ধরা হয়। যদিও তাঁর দাবি, পিঙ্কি ওরফে টুম্পা বিশ্বাস (৩২) নামে ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর বিয়েই হয়নি। তাঁরা এক সঙ্গে থাকতেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৪ ০০:৩৭

বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগে বনগাঁ জিআরপির সিভিক পুলিশের এক কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার ভোর রাতে গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাজার এলাকা থেকে কিশোর বিশ্বাস নামে ওই যুবককে ধরা হয়। যদিও তাঁর দাবি, পিঙ্কি ওরফে টুম্পা বিশ্বাস (৩২) নামে ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর বিয়েই হয়নি। তাঁরা এক সঙ্গে থাকতেন। পিঙ্কির ক্যান্সার ছিল। সম্প্রতি ওই যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। অন্য দিকে, পিঙ্কির পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, টাকার লোভে তাঁদের মেয়েকে খুন করে শাড়ির ফাঁসে ঝুলিয়ে দিয়েছে কিশোর। শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে ধৃতের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই ওই বাড়িতে থাকতেন কিশোর ও পিঙ্কি। তবে তাঁদের বিয়ের কোনও কাগজ এখনও পায়নি পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৭ জুন দুপুরে। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ চাঁদপাড়ার বিএম পল্লি এলাকার বাড়ি থেকে পিঙ্কির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। তখন কিশোরের কোনও দেখা পাওয়া যায়নি। ওই রাতেই পিঙ্কির বাপের বাবা শ্যামল কুণ্ডু কিশোরের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে নামে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। গাইঘাটা থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। তবে প্রাথমিক তদন্তে ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলেই মনে করছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁর কোড়ার বাগান এলাকার বাসিন্দা পিঙ্কির আগে ওড়িশার বাসুদেব হালদার নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দু’টি ছেলে রয়েছে। সাংসারিক অশান্তির জেরে কিছুদিন আগে তাঁদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিবাহবিচ্ছেদের সময় পিঙ্কি আগের স্বামীর কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা ও সোনার গয়না পেয়েছিলেন। তিনি বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। সম্প্রতি সাত-আট মাস আগে পিঙ্কির সঙ্গে গাইঘাটার উনাই গ্রামের বাসিন্দা কিশোরের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পিঙ্কির বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, তাঁরা পালিয়ে বিয়েও করে। বিএমপল্লি এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। বাড়ি থেকে পালানোর সময়ে আগের স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া টাকা ও গয়না সঙ্গে নিয়েছিল পিঙ্কি। কিশোর তাঁর কাছ থেকে ওই টাকা জোর করে নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। একটি মোটরবাইকও কেনে সে। পিঙ্কির বাবা শ্যামলবাবুর অভিযোগ, আরও বেশি টাকার দাবিতে মেয়ের উপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন শুরু করে কিশোর। মেয়ে তাকে কয়েকবার ফোনে তা জানিয়েও ছিল। কয়েকবার টাকাও দিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু পিঙ্কি বারবার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকার করায় পিঙ্কিকে কিশোর খুন করে বলে অভিযোগ। শ্যামলবাবুর দাবি, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন তাঁর মেয়েকে প্রায়ই মারধর করা হত। কিশোরের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

domestic violence gaighata
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy