Advertisement
E-Paper

মাইক বাজিয়ে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল

মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর হাইস্কুল মাঠে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে একটি কর্মিসভা তথা জনসভার আয়োজন করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৪ ০১:০১

মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর হাইস্কুল মাঠে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে একটি কর্মিসভা তথা জনসভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের জেলা সভাপতি মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শক্তি মণ্ডল, প্রাক্তন সাংসদ গোবিন্দ নস্কর ও প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল, ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। সেই সময়ে ওই মাঠের চারদিকে রাস্তার ধারে প্রায় ২০টি মাইক লাগিয়ে বক্তৃতা চলছিল। তবে মঞ্চে উঠে সুব্রতবাবু কর্মীদের বাইরের মাইকগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। মাঠের ভিতরের মাইকগুলি আস্তে চালানোর জন্যও বলেন। মাইক বাজিয়ে ভুল হয়েছে স্বীকার করে নিয়ে সভায় তিনি বলেন, “এমন অনুষ্ঠান করতে গেলে কিছু ভুল ত্রুটি হয়। নির্বাচন কমিশনের কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই আমরা বাইরের মাইকগুলি বন্ধ করে দিয়েছি। মাঠের ভিতরের মাইকগুলি আস্তে করে চালাতে বলেছি।” কিন্তু কোনও ভাবেই মাইকের শব্দ কম মনে হয়নি।

এই ঘটনায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে কি না জানতে চাইলে সুব্রতবাবু সাংবাদিকদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করে তাদের চলে যেতে বলেন বলে অভিযোগ।

এই ঘটনায় সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল সব জায়গায় মাইক বাজিয়ে একই জিনিস করছে। কয়েক দিন আগে বাসন্তী হাসপাতাল ভবনের কাছে মাইক বেঁধে কর্মিসভা করেছে। অথচ আমরা কোথাও বক্স বাজালেই নির্বাচন কমিশন থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ তৃণমূল করলে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। জেলা নির্বাচন আধিকারিককে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ দিনও একই জিনিস হয়েছে। বিষয়টি জেলা নির্বাচন আধিকারিককে জানাব।”

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সভার জন্য মাইক বাজানোর অনুমতি নেওয়া হয়নি। ওখানে খোঁজ নিয়ে দেখা হয়েছে, নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে। বিষয়টি জেলা নির্বাচন আধিকারিককে জানানো হবে।

lok sabha election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy