Advertisement
E-Paper

মহিলাকে মার, গাইঘাটার গ্রামে ধৃত স্বামী-সহ ৪

বধূ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্বামী-শাশুড়ি ও দুই প্রতিবেশী মহিলাকে। গাইঘাটা থানার তেঘরিয়াপোতা এলাকার এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।” ধৃতদের শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৪ ০১:২৩
ধৃত তিন মহিলা। —নিজস্ব চিত্র।

ধৃত তিন মহিলা। —নিজস্ব চিত্র।

বধূ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্বামী-শাশুড়ি ও দুই প্রতিবেশী মহিলাকে। গাইঘাটা থানার তেঘরিয়াপোতা এলাকার এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।” ধৃতদের শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে চাকদহ থানা এলাকার বাসিন্দা রাখিজা খাতুন নামে বছর কুড়ির ওই মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয় তেঘরিয়াপোতার বাসিন্দা কুরমান মণ্ডলের। পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও তাঁর কয়েক জন প্রতিবেশী শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালাত। পুলিশ ইতিমধ্যেই কুরমান মণ্ডল, তার মা মুন্না ওরফে মমিনা বিবি ও প্রতিবেশী দুই মহিলা সাহানুর বিবি এবং জামিনা মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। জিনাত আলম নামে এক প্রতিবেশী ও মহিলার শ্বশুর দুখে মণ্ডল পলাতক।

রাখিজা আপাতত বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানালেন, প্রতিবেশী জিনাত আলম দীর্ঘ দিন থেকে তাঁকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছে। মেনে না নেওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে মিলে মিথ্যে অপবাদও রটাচ্ছে। সংসার ভাঙার চেষ্টা করছে। মহিলা বলেন, “বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ জিনাতরা আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পাশের একটি লম্বু গাছের সঙ্গে হাত দু’টো পাটের দড়ি দিয়ে বেঁধে প্রচণ্ড মারধর করে। স্বামী সেখানে উপস্থিত থাকলেও বাধা দেয়নি। ওরা শাড়ি ছিঁড়ে দেয়।” তাঁর মুখে কীটনাশক ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা হয় বলেও তাঁর দাবি। তিনি প্রায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। পরে এক প্রতিবেশীর সাহায্যে থানায় আসেন। এই সব কথা অবশ্য মহিলা থানায় দায়ের করা অভিযোগে লেখেননি বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।

রাখিজাকে প্রথমে ঠাকুরনগরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাপের কেউ এসে পৌঁছননি। মহিলা জানালেন, ওষুধ কিনতে হবে। আলট্রাসনোগ্রাফি করতে বলেছেন চিকিৎসকেরা। কী ভাবে সে সব পেরে উঠবেন, তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাকিজা। তিনি বলেন, স্বামী ভোলাভালা মানুষ। তাঁকে ভুল বুঝিয়ে সংসার ভাঙতে চাইছে প্রতিবেশীরা। তবে সেরে উঠে স্বামীর কাছেই ফিরতে চান তিনি।

gaighat beaten lady
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy