Advertisement
১৭ মে ২০২৪

স্কুলে যোগ দিতে বাধা, হেনস্থা প্রধান শিক্ষককে

স্কুলে অশান্তির জেরে বদলি চান প্রধান শিক্ষক। অনুমতি মিলেওছিল। কিন্তু অভিযোগ, নতুন স্কুলে যোগ দিতে গিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে ওই প্রধান শিক্ষককে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৪ ০৮:২৪
Share: Save:

স্কুলে অশান্তির জেরে বদলি চান প্রধান শিক্ষক। অনুমতি মিলেওছিল। কিন্তু অভিযোগ, নতুন স্কুলে যোগ দিতে গিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে ওই প্রধান শিক্ষককে। এই কাণ্ডে স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের উসকানি ছিল বলেও অভিযোগ।

হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষাসংসদ সূত্রের খবর, আরামবাগের সালেপুর ১ পঞ্চায়েতের রামনগরের বাসিন্দা গোলোকপতি বারুই প্রধান শিক্ষক হিসাবে কাজ করতেন প্রহ্লাদ স্মৃতি সালেপুর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে তিনি শিক্ষা দফতর ও প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে লিখিত ভাবে বদলির আবেদন করেন। স্কুলে নানা সময়ে বিভিন্ন কারণে অশান্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বদলি চেয়েছিলেন গোলোকবাবু। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সেই আবেদন মঞ্জুরও করে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাশের গ্রামে রায়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে তাঁর বদলির নির্দেশ আসে।

শুক্রবার সকালে ওই স্কুলেই গিয়েছিলেন গোলোকবাবু। অভিযোগ, সালেপুর ১ পঞ্চায়েতের প্রধান গুণধর খাঁড়ার নেতৃত্বে তৃণমূলের বেশ কিছু লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে গোলোকবাবুকে যোগদানে বাধা দেয়। তাঁর নথিপত্র নষ্ট করা হয়। মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে গালিগালাজ, হেনস্থা করা হয় ওই প্রধান শিক্ষককে। গোলোকবাবুর দাবি, প্রধান তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুরনো স্কুলে হাজিরা খাতায় সই করতে বাধ্য করেছেন। এ দিন বিডিও, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে মৌখিক ভাবে ঘটনার কথা জানান ওই প্রধান শিক্ষক।

ঘটনার সময় তিনি হাজিরই ছিলেন না বলে দায় এড়িয়েছেন গুণধরবাবু। অন্য দিকে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পরেশচন্দ্র সামন্ত বলেন, “বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধানের সম্মতিতেই বদলি করা হয়েছে ওই প্রধান শিক্ষককে। কিন্তু কিছু লোক তাঁকে নতুন কাজের জায়গায় যোগ দিতে বাধা দিয়েছে বলে শুনেছি। এ ভাবে তো বদলি আটকানো যায় না।” সংসদের জেলা পরিদর্শক মহাদেব সরেন বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।”

গোলোকবাবু দীর্ঘ দিনের সিপিআই নেতা। তাঁর দাদা রঘুপতি বারুইও একই দলের নেতা। গোলোকবাবুর অভিযোগ, বামপন্থী হওয়ার জেরেই তাঁকে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুফল চানকের বক্তব্য, “আমাদের দলের কিছু লোকের দুর্ব্যবহারে এলাকার লোকও ক্ষুব্ধ। যা হয়েছে, অত্যন্ত অন্যায়। দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

transfer headmaster arambagh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE