প্রায় এক বছর আগে খানাকুলের পাতুল গ্রামে সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতে লুঠপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এক তৃণমূল নেতাকে ধরল পুলিশ। সোমবার কাঁটাপুকুরের বাসিন্দা, শেখ কাজল নামে ওই তৃণমূল নেতাকে তাঁর বাড়ি থেকেই ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। মাস দেড়েক আগে তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
শেখ কাজল যুব তৃণমূলের খানাকুল-১ ব্লক সম্পাদক। তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে, এই দাবি করে দলের ব্লক যুব সভাপতি শেখ নরেন বলেন, “গত বছর দিল্লিতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে সিপিএম যে ভাবে হেনস্থা করেছিল, তার প্রতিবাদে আমরা শুধু মিছিল করেছিলাম। সেই মিছিলে সিপিএমই হামলা করে। তার প্রতিবাদ করেছিলেন গ্রামবাসীরাই। তাতে আমাদের লোকের নামে মিথ্যা মামলা হয়।”
পুলিশ জানায়, দিল্লির ওই ঘটনায় সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে গত বছর ১০ এপ্রিল সকালে খানাকুলের পাতুল গ্রামে মিছিল করে তৃণমূল। সেই মিছিলে সিপিএমের লোকজন বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। এর পরেই পরিস্থিতি তেতে ওঠে। পাতুলের মাঝপাড়ায় সিপিএম সমর্থকদের ১৭টি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। ভাঙচুর, লুঠপাটও চলে। মহিলাদের শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় সিপিএমের পক্ষ থেকে শেখ কাজল-সহ তৃণমূলের ২০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ রাজ্য এবং জেলা বামফ্রন্টের নেতারা ঘটনাস্থলে আসেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনেরও দাবি ওঠে। এ দিন শেখ কাজল ধরা পড়ার পরে সিপিএমের খানাকুল জোনাল কমিটির সম্পাদক মণীন্দ্র রানা বলেন, “পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করছিল না। আমরা চাই এ বার সব অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy