ভোটের আগে হাওড়া স্টেশন থেকে অস্ত্র উদ্ধার করলেন সিআইডি-র ‘স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ’-এর অফিসারেরা। গ্রেফতার করা হয়েছে এক অস্ত্র বিক্রেতাকেও।
ভবানী ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই অস্ত্র ব্যবসায়ীর নাম জহর আহমেদ। তার বাড়ি মালদহের কালিয়াচকে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার দুপুরে হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা আপ মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস থেকে জহরকে গ্রেফতার করেন সিআইডি-র স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওই অফিসারেরা। জহর আহমেদের কাছ থেকে ১৫টি উন্নত মানের আগ্নেয়াস্ত্র আটক করেছেন গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি মিলেছে ৩০ রাউন্ড ম্যাগাজিনও।
প্রাথমিক তদন্তের পরে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলি মালদহে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। জহরকে জেরা করে গোয়েন্দারা আরও জানতে পেরেছেন, এক-একটি অস্ত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করার কথা ছিল। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে নাইন এমএম এবং সেভেন এমএম পিস্তলও। তবে সেগুলি কোথায় তৈরি করা হয়েছিল, তা এখনও বিস্তারিত জানতে পারেননি গোয়েন্দারা।
অন্য দিকে, বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বোমা-সহ তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের বন্দর বিভাগের স্পেশাল অপারেশন স্টাফ ডিভিশন (এসএসপিডি)। শনিবার রাতে গার্ডেনরিচের বাসকেল ব্রিজের কাছ থেকে ওই তিন জনকে ধরা হয়। ধৃতদের নাম মইনুদ্দিন খান, শেখ পারভেজ এবং আব্দুল রজ্জাক ওরফে ছোট্টু। তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি এবং ৬টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে রবিবার রাতে ওয়াসিম নামে এক প্রোমোটারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র এবং বোমা তিলজলার ওই প্রোমোটারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। তবে কীসের জন্য ওই প্রোমোটারের কাছে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল, সে ব্যাপারে এখনও অন্ধকারে পুলিশ।
এ দিকে, রবিবারই গরফা থানা এলাকার পালবাজার থেকে কৃষ্ণ মণ্ডল নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, কৃষ্ণর বাড়ি সোনারপুরে। তার কাছে একটি পিস্তল এবং এক রাউন্ড গুলি মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy