প্রতীকী ছবি।
নির্ভয়া-কাণ্ডে চার জনের ফাঁসি এক লহমায় মহিলাকে পিছিয়ে দিয়েছে বছর পনেরো। শুক্রবার ফোনে শান্তি মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসির সাজা কার্যকরী হওয়ায় আমি খুশি।” হেতাল পারেখ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে ২০০৪ সালে ফাঁসির সাজা পাওয়া ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের বোন শান্তিদেবী। তবে তাঁর সংযোজন: ‘‘নির্ভয়া কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট প্রমাণ ছিল। দাদার ক্ষেত্রে তেমন কিছু ছিল না। দিল্লির ঘটনার সঙ্গে তাই দাদার ফাঁসির তুলনা করা উচিত হবে না।’’
১৯৯০ সালে কলকাতার ভবানীপুরে ১৪ বছরের হেতালকে বহুতল বাড়িতে একলা পেয়ে খুন ও ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে সে বহুতলেরই নিরাপত্তারক্ষী বাঁকুড়া জেলার ছাতনার কুলুডিহির বাসিন্দা ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। ২০০৪ সালের ১৪ অগস্ট ফাঁসি হয় তাঁর।
ধনঞ্জয়েরা তিন ভাই, চার বোন। মাঝবয়সী শান্তিদেবী জানান, ধনঞ্জয়ের ফাঁসির পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁদের বাবা বংশীধর চট্টোপাধ্যায়। বছর তিনেকের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। কয়েকবছর পরে মারা যান মা বেলারানি দেবী। ধনঞ্জয়ের স্ত্রী পূর্ণিমা এখন পুরুলিয়ার কাশীপুর এলাকায় বাপের বাড়িতে থাকেন।
আরও পড়ুন: ‘মনে হয়, কিছু অপরাধের এমন শাস্তিই দরকার’
বাঁকুড়ার ছাতনার দুবরাজপুরের বাসিন্দা শান্তিদেবী এ দিন অসুস্থ স্বামীকে হাসপাতালে দেখাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত ছিলেন। ফোনে বলেন, ‘‘ধর্ষক ও খুনিদের রেয়াত করা উচিত নয়। দিল্লির অভিযুক্তেরা তবু নিজেদের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ দেওয়ার জন্য সাত বছর সময় পেয়েছে। কিন্তু কেবল গরিব হওয়ার জন্যই উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছে আমার দাদাকে। ফাঁসির আগে দাদার ১৪ বছর জেল খাটা হয়ে গিয়েছিল। দু’টো ঘটনার তুলনাই চলে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy