Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

দেহ ফেরানো যাবে না, মেল সিডনি থেকে

সিডনিতে মৃত কেশপুরের সেই যুবক চিরঞ্জীব হাজরার দেহ ফেরত আনতে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় যোগাযোগ করেছিলেন তাঁর পরিজনেরা। কিন্তু সোমবার সকালে সিডনি থেকে ই-মেলে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেহ ফেরত পাঠানো যাবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৪
Share: Save:

প্রবাসে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে গত ২৯ জানুয়ারি। সিডনিতে মৃত কেশপুরের সেই যুবক চিরঞ্জীব হাজরার দেহ ফেরত আনতে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় যোগাযোগ করেছিলেন তাঁর পরিজনেরা। কিন্তু সোমবার সকালে সিডনি থেকে ই-মেলে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেহ ফেরত পাঠানো যাবে না। কারণ, ইতিমধ্যে পচন ধরতে শুরু করেছে। তাই সিডনিতে দেহ দাহ করার জন্য পরিজনেদের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

এমন বার্তায় অসন্তুষ্ট চিরঞ্জীবের পরিজনেরা। সোমবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার সঙ্গে দেখা করে লিখিত ভাবে তাঁরা জানিয়েছেন, দেহ ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হোক।

এ দিন মেদিনীপুরে এসেছিলেন চিরঞ্জীবের ভাগ্নে অভীক সামন্ত। তিনি বলেন, “শুরু থেকেই আমরা ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহ ফেরত পাঠানোর কথা বলেছিলাম। শনিবার পর্যন্ত আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল। অথচ ই-মেলে উল্টো কথা বলা হয়েছে।” অভীকের মতে, “মৃত্যুর পিছনে বড় রহস্য রয়েছে বলে মনে হয়। দেহ সংরক্ষণের তো অনেক আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। তাও কী করে পচন ধরে, বুঝছি না।”

বছর তিরিশের চিরঞ্জীবের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের নেড়াদেউলে। কর্মসূত্রে তিনি সিডনিতে থাকতেন। সিডনিতেই এক সংস্থায় কাজ করার পাশাপাশি কয়েক জন মিলে একটি রেস্তোরাঁও খুলেছিলেন। রেস্তোরাঁ ব্যবসায় প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন ধনী পরিবারের ছেলে চিরঞ্জীব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE