সন্ধ্যা সাতটা থেকে টিকিয়াপাড়া স্টেশনে তিনটি লাইনই অবরোধ করেন যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র।
যাত্রী বিক্ষোভের জেরে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হাওড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পরিষেবা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে টিকিয়াপাড়া স্টেশনে তিনটি লাইনই অবরোধ করেন যাত্রীরা। যার ফলে সাতটার পর থেকে কোনও ট্রেন হাওড়া স্টেশনে ঢুকতে পারেনি, বা হাওড়া থেকে ছাড়তে পারেনি। হাওড়া গামী সমস্ত ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। চরম দুর্ভোগে পড়েন কয়েক হাজার যাত্রী।
ঘটনার সূত্রপাত হাওড়া-আমতা লোকাল দীর্ঘক্ষণ টিকিয়াপাড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে। যাত্রীদের দাবি, সাড়ে ছ’টা থেকে প্রায় এক ঘ্ণ্টা টিকিয়াপাড়া স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় হাওড়া-আমতা লোকাল। যাত্রীদের অভিযোগ, এই ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা বা ট্রেন যথেচ্ছ ভাবে দেরিতে চালানো এখন নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই ওই হাওড়া-আমতা লোকাল দেরিতে চলে। ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।
এর পরই ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ট্রেন ছেড়ে রেল লাইনে নেমে পড়েন। অবরোধ করেন সব ক’টি লাইন। প্রথমে রেল পুলিশ এবং পরে রেলের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভকারী যাত্রীদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন। কিন্তু রাত পৌনে দশটা পর্যন্ত অবরোধ ওঠেনি।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগকারী আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন,“ এ দিন সন্ধ্যা ৬টা২৮ মিনিট থেকে ৭টা৫০ মিনিট পর্যন্ত মৌরিগ্রাম স্টেশনে সিগন্যালিং প্যানেলে সমস্যা থাকায় টিকিয়াপাড়া স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়।” তিনি দাবি করেন, এর পর সিগন্যালিং ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলেও যাত্রীদের অবরোধের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। তবে তাঁর দাবি, রেল কর্তাদের সঙ্গে যাত্রীদের আলোচনা চলছে এবং অবরোধ উঠে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন সঞ্জয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy