Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
State News

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, স্বাস্থ্য আধিকারিকের গায়ে নোংরা জল!

তড়িঘড়ি অর্জুনার শালকুঠি থেকে ডেবরা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল বছর বাইশের আল্পনা পাত্রকে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, সারা রাত হাসপাতালের বেডেই এক কোণে পড়েছিলেন তিনি।

ঘটনার পর হাসপাতাল চত্বর।

ঘটনার পর হাসপাতাল চত্বর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ১৬:১৫
Share: Save:

প্রসব বেদনা উঠেছিল সোমবার রাতেই। তড়িঘড়ি অর্জুনার শালকুঠি থেকে ডেবরা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল বছর বাইশের আল্পনা পাত্রকে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, সারা রাত হাসপাতালের বেডেই এক কোণে পড়েছিলেন তিনি। কোনও চিকিৎসক তো দূরের কথা, হাসপাতালের কোনও সেবাকর্মীও দেখভাল করেননি আল্পনাদেবীকে। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে ওই প্রসূতির অবস্থা অশঙ্কাজনক হয়ে উঠলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই প্রসূতির পরিবার।

আরও পড়ুন: মা-কে খুন করে হৃদপিণ্ড দিয়ে চাটনি খেল ছেলে!

দেখুন সেই ভিডিও

এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমে হাসপাতালের এক সেবাকর্মী অঞ্জলি ঘড়ুইকে আটক করে হেনস্থা করেন আল্পনাদেবীর পরিবারের লোকজনরা। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসক তথা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রজত পালের উপর চড়াও হয়ে তাঁকেও মারধর করেন তাঁরা। রজতবাবুর অভিযোগ, তাঁকে জোর করে বাথরুমে টেনে নিয়ে গিয়ে গায়ে নোংরা আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত জল ঢেলে দেওয়া হয়। ভাংচুর চালানো হয় হাসপাতালেও। অবশেষে ডেবরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাসপাতালের বেডে প্রহৃত রজত পাল

আরও পড়ুন: ওভারটেক করতে গিয়ে দুই গাড়ির ধাক্কা, বনগাঁয় মৃত ৩

এর পরেই ওই প্রসূতিকে নিয়ে যাওয়া হয় কোলাঘাটের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই সন্তানের জন্ম দেন আল্পনাদেবী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মা ও সন্তান দু’জনের অবস্থাই এখন স্থিতিশীল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE