রবিবার রাত পৌনে ৩টে। সুনসান রামপুরহাট স্টেশনে নামলেন দু’জন। এক জন অসুস্থ। অন্য জন চিকিৎসক। স্টেশনে কোথাও কেউ নেই। না আরপিএফ, না রেলের কোনও কর্মী। চিকিৎসকই দু’জনের ব্যাগ বয়ে, টোটো ভাড়া করে চললেন হাসপাতালে।
এ-হেন মানবিকতার নজির গড়লেন যিনি, সেই মলয় দাস সদ্য যোগ দিয়েছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রবিবার রাতে কলকাতা থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এসি টু টিয়ার কামরায় শুয়ে পড়ার কিছু ক্ষণ পরেই হাজির হন টিকিট পরীক্ষক। জানান, ওই কামরাতেই এক জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, বুকে ব্যথা হচ্ছে।
মলয়বাবু গিয়ে দেখেন, আলিপুরদুয়ার শহরের অরবিন্দনগরের বাসিন্দা সুদীপ ভাদুড়ি নামে মাঝবয়সি ওই ব্যক্তি বুকের যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তাঁকে ব্যথা কমার ওষুধ দেন মলয়বাবু। ঘণ্টাখানেক পরে টিকিট পরীক্ষক আবার এসে জানান, রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ট্রেন তখন বোলপুর ঢুকছে। মলয়বাবুর কথায়, ‘‘ট্রেনে কী করে বুকে ব্যথার চিকিৎসা সম্ভব! ওঁকে বোলপুরে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলি। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি।’’