Advertisement
E-Paper

TMC: স্বামী তৃণমূল প্রার্থী, স্ত্রী ‘বিক্ষুব্ধ’ নির্দল, ‘দলের স্বার্থে’ ভাঙতে চলেছে বিয়ে!

বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে সুরজিৎ মুখ খোলেন। তাঁকে দাবি করতে শোনা যায়, ভোটে যে কেউ দাঁড়াতে পারেন। তাঁর স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে ন’নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছেন। স্ত্রীর নেতৃত্বে বিধানসভায় তৃণমূল ওই ওয়ার্ড থেকে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৪৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পুরভোটে স্বামী তৃণমূলের প্রার্থী। স্ত্রীও তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তবে তাঁর নাম প্রথমে প্রার্থী তালিকায় থাকলেও পরে বাদ যায়। তাই ভোটে লড়তে স্ত্রী দাঁড়িয়েছেন নির্দল প্রার্থী হিসাবে। দল থেকে স্ত্রীর টিকিট না পাওয়ার এই দুঃখেই দাম্পত্যে ভাঙনের ইঙ্গিত দিলেন স্বামী।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পারিষদ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুরজিৎ রায়চৌধুরী বৃহস্পতিবার বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, দলের স্বার্থে তিনি তাঁর স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি স্ত্রী, ন’নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী রীতা রায়চৌধুরী। তিনি জানান, এটি তাঁর পারিবারিক বিষয়। নির্বাচনের পরে যা বলার বলবেন। তবে নোটিস পেয়েছেন বলে তিনিও বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন।

সুরজিৎ রায়চৌধুরী।

সুরজিৎ রায়চৌধুরী। ছবি- সংগৃহীত

বিষয়টি নিয়ে সরগরম স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। ঘটনাচক্রে দক্ষিণ দমদমের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান পারিষদ দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ বার নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন। পারিবারিক ভাঙনের বিষয়ে বিরোধীদের অবশ্য দাবি, আদৌ এমন কিছু ঘটেছে কি না, তা জানা প্রয়োজন। ঘটলে তা অনভিপ্রেত। সুরজিতের পুরনো ওয়ার্ড ন’নম্বর। সেখানে প্রথমে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় রীতার নাম থাকলেও পরে প্রার্থী হন টুম্পা দাস। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ন’নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে নির্দল প্রার্থীরই হোর্ডিং, ব্যানার রয়েছে। জোর প্রচার চলছে। তুলনায় তৃণমূল প্রচারে বরং কিছুটা পিছিয়ে। এই নিয়ে নানা জল্পনা ঘুরছে
স্থানীয় মহলে।

এর পরেই বৃহস্পতিবার বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে সুরজিৎ মুখ খোলেন। তাঁকে দাবি করতে শোনা যায়, ভোটে যে কেউ দাঁড়াতে পারেন। তাঁর স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে ন’নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছেন। স্ত্রীর নেতৃত্বে বিধানসভায় তৃণমূল ওই ওয়ার্ড থেকে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। এর পরেই তাঁর দাবি, অনেকেই বলছেন স্বামী-স্ত্রীকে টিকিট দেওয়া যাবে না। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনা, বারাসত, গারুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী প্রার্থী হয়েছেন। এই দু’রকম বিচারে ভুগতে হল। দলের স্বার্থে পরিবারকে ছাড়তে হল।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সুরজিৎকে ফোন এবং মেসেজ করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। যোগাযোগ করা যায়নি রীতার সঙ্গেও।

dumdum TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy