এসএসসি মামলায় চাকরি হারানো শিক্ষকশিক্ষিকারা এ বার আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকেই শুরু হয়েছে ওই অনশন কর্মসূচি। ‘যোগ্য’ শিক্ষকশিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের পক্ষ জানানো হয়েছে, এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান সূত্র না-বেরোনোর ফলেই এই সিদ্ধান্ত।
শিক্ষকশিক্ষিকাদের দাবি ছিল, পিটিশন রিভিউ ও কিউরেটিভ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ফর্ম পূরণ বা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা ও ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে, রি-প্যানেলের ব্যবস্থা করতে হবে, যাচাই করে যোগ্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করার পরে তা প্রত্যয়িত করতে হবে এসএসসিকে। উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অনলাইন ফর্ম ফিল আপ প্রক্রিয়া। সেই তারিখই পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, যাঁরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন তাঁদের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকশিক্ষিকারা। এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার দাবি জানানো হলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, অধিকার মঞ্চের আট জন চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদেরকে জমায়েত তুলে নেওয়ার কথাও বলা হয়। এর পরে প্রতিনিধি দল গিয়ে দীর্ঘ প্রায় ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেন চেয়ারম্যানের সঙ্গে। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, কোনও রফা সূত্র বের হয়নি।
আরও পড়ুন:
এসএসসি ভবনের বাইরে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন শিক্ষকশিক্ষিকারা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সমস্ত দাবি মেনে না-নেওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালানো হবে। রাত ১২টা থেকেই সেই অনশনে অংশ নেন ছ’জন শিক্ষক ও ছ’জন শিক্ষিকা। জানা গিয়েছে, এর পর থেকে অনশন চালিয়ে যাবেন দশ জন। তবে এসএসসি ভবনের সামনে নয়, হাই কোর্টের নির্দেশে যেখানে মঞ্চ করা হয়েছে সেখানেই চলবে অনশন। এই প্রসঙ্গে ‘যোগ্য’ শিক্ষক অমিতরঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, ‘‘আমরা কোনও ভাবেই পরীক্ষা দিতে চাই না। আমাদের কোনও দাবিকে সরকার এখনও পর্যন্ত মান্যতা দেয়নি। রিভিউ পিটিশন-সহ সমস্ত আইনি জটিলতা না-কাটা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।’’