Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন, তৈরি প্রশাসন

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:০১
Share: Save:

মাস আটেক আগে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনে রাজনৈতিক সংঘর্ষের মামলাগুলির হালহকিত, কত জনের মৃত্যু হয়েছিল, কত জন আহত হয়েছিলেন—এই সব বিষয়ে সবিস্তারে রিপোর্ট তৈরি রাখছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা। কারণ, ওই নির্বাচনের রিপোর্ট চাইতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

আজ, বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ন’টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। বৈঠকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দলের জয়ী হওয়ার বিষয়টি তুলতে পারেন বিরোধীরা। রাজ্যের নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে চারটি রিপোর্ট বই আকারে কমিশনের কাছে জমা হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ, বৃহস্পতিবার দু’দফায় ১২টি করে জেলা ভাগ করে জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা কমিশনের। বিকেলে রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে কমিশনের। এই দুই বৈঠকেই আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন রাখতে পারে কমিশন। দু’দিনের সফরের শেষ দিনে, শুক্রবার মুখ্য সচিব ও রাজ্য পুলিশ প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।

গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে মাওবাদী অধ্যুষিত জেলার মানচিত্র চাইতে পারে কমিশন। গত বছর মাওবাদী সংক্রান্ত কতগুলি মামলা হয়েছে, তার উত্তরও চাইতে পারে কমিশন। সে ক্ষেত্রে রাজ্যে মাওবাদী সমস্যা যে কার্যত নেই, সেই রিপোর্টই রাজ্য প্রশাসন দিতে পারে বলে খবর। এই পরিস্থিতির মধ্যে ‘ক্রিটিকাল’ বা সমস্যাপ্রবণ থানা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে হতে পারে রাজ্যকে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সেই থানাগুলি চিহ্নিত হয়নি।

অতীতের বিভিন্ন নির্বাচনে বা পরবর্তী অশান্তির ধারাবাহিকতা থাকা থানা এলাকাকেই সাধারণত সমস্যাপ্রবণ (ক্রিটিকাল) থানা বলে চিহ্নিত করা হয়। সঙ্গে সেই সব সমস্যা মেটানোর জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তার রিপোর্ট তৈরি রাখতে হয় রাজ্য প্রশাসনকে। সূত্রের খবর, ‘ক্রিটিকাল’ থানা

এখনও চিহ্নিত হয়নি। এই চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে ‘ভূমিকা’ নেন বিডিও, ওসি বা আইসিরা।

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের একাংশ একদা মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা বলেই চিহ্নিত ছিল। এখন ওই সব এলাকার পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত বলে দাবি রাজ্যের। তবে ঝাড়গ্রাম এখনও মাওবাদী অধ্যুষিত বা ‘লেফ্ট উইং এক্সট্রিমিজম’(এলডব্লিউই) জেলা বলে চিহ্নিত রয়েছে। মাওবাদী সংক্রান্ত কমিশনের প্রশ্নের সামনে সেই শান্ত থাকার পরিস্থিতি তুলে ধরতে পারে রাজ্য। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের হাতিয়ার হতে পারে জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা কমানো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE