—ফাইল চিত্র।
রাজ্যের অন্তত আটটি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ‘সন্তুষ্ট’ নয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার বিকেলে রাজ্যের জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে এ কথা জানিয়েছেন এ রাজ্যের দায়িত্বে থাকা উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের দু’টি জেলা, একটি শিল্পাঞ্চল অধ্যুষিত জেলা, রাঢ়বঙ্গ-পশ্চিমাঞ্চলের দু’টি জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের তিনটি জেলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকরী করা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। এ নিয়ে বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন কমিশনের কর্তা। এমনকি, দু’টি জেলার পুলিশ কর্তাদের ভূমিকা ‘যথেষ্ট তৎপর’ নয় বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
জেলাগুলির পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয় যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভাল। কমিশনের তরফে পাল্টা বলা হয়, তা হলে ওই সব জেলা থেকে বিভিন্ন ঘটনার খবর আসছে কেন? গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা নিয়েও জেলাগুলির দাবি খণ্ডন করে কমিশন বলেছে, পুলিশ-প্রশাসন সচেষ্ট হলে গ্রেফতারির সংখ্যা বাড়ার কথা। বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসনগুলিকে সমস্যা শুধরে নিতে বলেছে কমিশন।
এ দিনের বৈঠকে কমিশনের তৈরি নির্বাচনী অ্যাপ ‘সি-ভিজিল’ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আমজনতার কাছে এই অ্যাপের তথ্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে বলে মত সুদীপ জৈনের। সাত দিনের মধ্যে অ্যাপটি জনপ্রিয় করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘সি-ভিজিল’ সম্পর্কে সচেতনতা আমজনতার কাছে পৌঁছনো জরুরি। এ ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের একটি জেলা প্রশাসনের তরফে দিনরাত নজরদারির জন্য কর্মী বাড়ানোর কথা বলা হয়। সঙ্গে পাহাড়ি এলাকার কারণে ইন্টারনেট পরিষেবার সমস্যার কথা জানানো হয়। কর্মী সংক্রান্ত বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য ওই জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
আজ, শনিবার দিনভর জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা সিইও দফতরের কর্তাদের। সেখানে ভোট প্রস্তুতির যাবতীয় বিষয় নিয়ে বিশদে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy