Advertisement
E-Paper

‘রেমাল’ মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন, চলছে মাইকে প্রচার, একাধিক জেলায় বন্ধ ফেরি পরিষেবা

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সমুদ্র এবং নদীর ধার বরাবর চলছে প্রশাসনের মাইকিং। স্থানীয় মানুষদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ফ্লাড শেল্টারগুলিতে। মজুত রাখা হয়েছে পানীয় জল এবং শুকনো খাবার।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৪ ১৭:৫৩
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন। — নিজস্ব চিত্র।

নদীর পাড়ে বাস, ভাবনা বারো মাস! প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের মাথায় হাত পড়ে। আবারও একটি ঘূর্ণিঝড় আসছে ধেয়ে। তাই আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা। কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল আগেই, তবুও কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সমুদ্রে চলছে নজরদারি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাশাপাশি হুগলিতেও বন্ধ ফেরি চলাচল। তবে সুন্দরবন এলাকার মানুষের সবচেয়ে বেশি চিন্তা নদীবাঁধ নিয়ে।

প্রতি বারই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাথরপ্রতিমা, জি প্লট, নামখানা, মৌসুনি, ঘোড়ামারা, গঙ্গাসাগর-সহ একাধিক জায়গায় দুর্বল নদীবাঁধ ভেঙে এলাকায় জল ঢুকে নষ্ট হয় চাষের জমি। আর তাই নতুন করে আবারও আশঙ্কার প্রহর গুনছেন মানুষ। সমুদ্র এবং নদীর ধার বরাবর চলছে প্রশাসনের মাইকিং। স্থানীয় মানুষদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ফ্লাড শেল্টারগুলিতে। মজুত রাখা হয়েছে পানীয় জল এবং শুকনো খাবার।

রেমালের আশঙ্কায় সতর্ক হুগলিও। হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার পক্ষ থেকে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় চলছে মাইকে প্রচার। বাঁধের ধারের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হচ্ছে পুরসভার পক্ষ থেকে। সেই মতো গঙ্গায় মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের গঙ্গায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২৫ মে, শনিবার থেকে ২৭ মে পর্যন্ত তিন দিন হুগলি জেলার সমস্ত ঘাটে বন্ধ থাকবে ফেরি চলাচল। সেই মতো নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্ন থেকে। এ দিন সকালে দেখা যায় চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, গুপ্তিপাড়া-সহ বিভিন্ন ফেরিঘাট বন্ধ। নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে ফেরিঘাটের কাউন্টারে। তবে বহু যাত্রীর কাছে ফেরি বন্ধের খবর না থাকায় ঘাটে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁদের।

পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ইয়াস ও আমফানের সময় প্রশাসন মানুষের পাশে থেকেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে যা খবর, রেমাল পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। ইতিমধ্যে এ নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। গঙ্গা এবং বিভিন্ন নদীপথে নৌকা, লঞ্চ, ভেসেল পারাপার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে নবান্নে।

Cyclone Weather Report Ferry Service
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy